পিপলস আর্মি গঠন সময়ের দাবি

Google Alert – BD Army

‘পিপলস আর্মি’ বা ‘জনগণের বাহিনী’ বলতে বোঝানো হয় এমন একটি সামরিক বা আধাসামরিক গোষ্ঠী যা সাধারণ জনগণের দ্বারা গঠিত, জনগণের স্বার্থে কাজ করে এবং কখনো কখনো রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিকল্প বা পরিপূরক শক্তি হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন দেশে এই মডেল রয়েছে যেমন- চীনে পিপলস লিবারেশন আর্মি। বলিভিয়ায় বলিভিয়ান মিলিশিয়া। রয়েছে কিউবা ও ভিয়েতনামে এমন আর্মি।

কেন এমন দাবি?

বাংলাদেশে পিপলস আর্মি গঠনের পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। সীমান্তে, পাহাড়ে বা দুর্গম অঞ্চলে যেখানে সেনাবাহিনী বা পুলিশ সর্বদা উপস্থিত থাকতে পারে না, সেখানে স্থানীয় প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী কাজে লাগানো যেতে পারে এর মাধ্যমে। এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবভিত্তিক। সীমান্ত, পার্বত্যাঞ্চল ও দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থায় গণসম্পৃক্ততা একটি সময়োপযোগী ধারণা। তবে এর বাস্তবায়ন কেবল ‘পিপলস আর্মি’ নয়; বরং ব্যবস্থাগতভাবে নিয়ন্ত্রিত জনগণভিত্তিক প্রতিরক্ষা কাঠামো হিসেবে বিবেচনা করলে তা আরো কার্যকর, নিরাপদ ও সাংবিধানিক হতে পারে।

বাহ্যিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা রক্ষায় জনগণের অংশগ্রহণমূলক প্রতিরক্ষা কাঠামো গঠনের প্রয়োজন। যদি ভারত বা মিয়ানমার থেকে সামরিক আগ্রাসন হয়, তখন শুধু পেশাদার সেনাবাহিনীর উপর নির্ভর করলেই চলবে না। একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে জনগণই হবে প্রতিরক্ষার প্রথম স্তম্ভ। তাদের হতে হবে প্রশিক্ষিত, সংগঠিত ও রাষ্ট্র-সমর্থিত গণপ্রতিরক্ষা বাহিনী।

একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্পদ তার জনগণ। যখন দেশ বহিরাগত আগ্রাসনের মুখোমুখি হয়, তখন কেবল পেশাদার সেনাবাহিনী নয়, জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধই পারে স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে। বাংলাদেশের মতো ভূ-রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ও ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশে অংশগ্রহণমূলক প্রতিরক্ষার বিকল্প নেই।

১. জাতীয় প্রতিরক্ষার গণভিত্তি

একটি রাষ্ট্রে জাতীয় প্রতিরক্ষা শুধু সরকারের বা সেনাবাহিনীর একক দায়িত্ব নয়- এটি জনগণেরও সমান দায়িত্ব ও অধিকার। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণই একটি সুস্থ, নিরাপদ ও সচেতন জাতির পরিচয় দেয়। রাষ্ট্রের জন্য জনগণ, কিন্তু জনগণও রাষ্ট্রের রক্ষক : যখন জাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে, তখন কেবল অস্ত্রধারী বাহিনী নয়, সাধারণ নাগরিকদের প্রতিরোধ মনোবলই হতে পারে সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা। নিরাপত্তা মানে কেবল অস্ত্র নয়, মানসিক প্রস্তুতিও : নাগরিকদের মধ্যে দেশপ্রেম, প্রতিরক্ষা সচেতনতা এবং প্রাথমিক প্রশিক্ষণ থাকা উচিত যেন সঙ্কটকালে তারা আত্মরক্ষার পাশাপাশি দেশের জন্যও কিছু করতে পারে।

প্রতিরক্ষা তখনই শক্তিশালী হয়, যখন তা শাসক-প্রশাসন-সামরিক ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। জনগণের অংশগ্রহণ মানেই জাতীয় প্রতিরক্ষাকে গণভিত্তিক ও টেকসই করা।

২. পার্শ্ববর্তী দেশের হুমকি ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা

বাংলাদেশ এমন এক ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে অবস্থিত, যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর কর্মকাণ্ড তার নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ভারত ও মিয়ানমার- এই দু’টি প্রতিবেশী দেশ সামরিক সক্ষমতায় বাংলাদেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে এবং অতীতে একাধিকবার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সামরিক শক্তি এবং মিয়ানমারও সম্প্রতি তাদের সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করেছে। উভয় দেশের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে দীর্ঘ সীমান্ত যেখানে নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা রয়ে গেছে।

রোহিঙ্গা সঙ্কট ও মিয়ানমার হুমকি : মিয়ানমারের দমন-পীড়নের ফলে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়- এটি ছিল এক ধরনের মানবিক আগ্রাসন। পাশাপাশি, সীমান্তে বারবার গুলি ছোড়া, গোলা বর্ষণ, বিমান ঢুকে পড়া- এসব দেখায় যে সরাসরি সামরিক উত্তেজনাও সম্ভাব্য।

ভারতের সাথে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ : সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হওয়া, পানিসমস্যা, ট্রানজিট ইস্যু, এমনকি রাজনৈতিকভাবে প্রভাব খাটানোর অভিযোগও রয়েছে। এসব ইঙ্গিত দেয়, আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্য বাংলাদেশকে চাপের মুখে ফেলে।

ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু : ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশের অবস্থানকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করতে চায়। ফলে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে একধরনের ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের সম্ভাব্য ময়দান।

জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া প্রতিরোধ দুর্বল : যদি রাষ্ট্র কেবল সেনাবাহিনীর উপর নির্ভর করে এবং জনগণকে প্রতিরক্ষার বাইরে রাখে, তবে হঠাৎ কোনো আগ্রাসনের সময় জাতীয় প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ার ঝুঁকি থাকে। একটি প্রশিক্ষিত জনগণই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধের ভিত্তি।

৩. পিপলস আর্মি বা নাগরিক প্রতিরক্ষা কাঠামোর ধারণা

যুদ্ধ এখন সাইবার পরিসর, তথ্যযুদ্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধ ও জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির মধ্য দিয়েও পরিচালিত হয়। এ বাস্তবতায় রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাকে শুধু পেশাদার সেনাবাহিনীর উপর নির্ভর করে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

এই বাহিনী শান্তিকালে প্রস্তুত থাকবে এবং যুদ্ধ বা সঙ্কটকালে দ্রুত সক্রিয় হয়ে সেনাবাহিনীর সহায়ক শক্তি ও অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ গঠন করবে। এ ধরনের বাহিনীর কাঠামো হতে পারে বহুস্তরীয় ও প্রয়োজনভিত্তিক।

ন্যাশনাল রিজার্ভ ফোর্স (NRF) : অবসরপ্রাপ্ত সেনা, পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত বাহিনী, যারা সঙ্কটে পুনরায় অ্যাক্টিভেট হয়ে নিরাপত্তা ও কৌশলগত সহায়তা দেবে।

সিভিল ডিফেন্স ইউনিট : সাধারণ নাগরিকদের প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি একটি ইউনিট, যারা দুর্যোগ, হামলা বা জরুরি পরিস্থিতিতে রক্ষণ, উদ্ধার, ত্রাণ ও জনমনে শৃঙ্খলা রক্ষা করবে।

সাইবার ও তথ্য প্রতিরোধ বাহিনী : ডিজিটাল ও প্রযুক্তিপ্রবণ তরুণদের নিয়ে গঠিত বাহিনী, যারা সাইবার হামলা, গুজব, ভুয়া তথ্য, বা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ মোকাবেলা করবে।

গ্রামীণ প্রতিরক্ষা স্কোয়াড : সীমান্তবর্তী ও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের স্থানীয় প্রতিরক্ষা কৌশল শেখানো, যাতে তারা সঙ্কটকালে সীমান্ত নজরদারি, সরবরাহ লাইন রক্ষা এবং প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।

এই ইউনিটগুলো প্রশিক্ষিত, রেজিস্টারভুক্ত এবং নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হবে, যাতে তা কখনোই স্বেচ্ছাচার বা বিশৃঙ্খলার জন্ম না দেয়। পিপলস আর্মি মানেই জনগণকে অস্ত্রধারী করা নয়; বরং তাদের সচেতন, প্রস্তুত ও সংগঠিত প্রতিরোধের অংশ করে তোলা।

৪. আন্তর্জাতিক উদাহরণ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জনগণকে জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশীদার করে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলেছে। তাদের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, যেখানে জনগণ প্রস্তুত, সেখানে বিদেশী আগ্রাসন শুধু কঠিনই নয়, প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এই মডেলগুলো থেকে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারে।

সুইজারল্যান্ড : নিরপেক্ষ দেশ হলেও সুইজারল্যান্ডে সব পুরুষ নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা রিজার্ভ ফোর্সের অংশ হয়ে যায় এবং ঘরে অস্ত্র সংরক্ষণ করে যাতে প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গঠন সম্ভব হয়। এই কাঠামো তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে।

ভিয়েতনাম : দীর্ঘ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা গড়ে তুলেছে ‘পিপলস মিলিশিয়া’ নামক প্রতিরক্ষা কাঠামো। এটি এমন এক ব্যবস্থা যেখানে গ্রাম-শহর সর্বত্র জনগণ সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তারা স্থানীয়ভাবে সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।

চীন : চীনে পিপলস আর্মড ফোর্সের অধীনে রয়েছে মিলিশিয়া সদস্যরা, যারা নিয়মিত প্রশিক্ষণ পায়। তারা সামরিক, সাইবার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করে।

তুরস্ক : যেকোনো শিক্ষা স্তরের পুরুষদের জন্য ছয় মাস সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েটদের জন্য রিজার্ভ অফিসার ১২ মাস পর্যন্ত হতে পারে, তবে এখন ছয় মাসের সামরিক পরিষেবায় প্রায় সমানীকরণ হচ্ছে। মহিলাদের জন্য কোনো বাধ্যতামূলক সেবা নেই, তবে ইচ্ছা করলে অফিসার বা নন কমিশন অফিসার হিসেবে স্বেচ্ছায় যোগ দিতে পারেন।

ইসরাইল : এখানকার প্রতিটি নাগরিক- ছেলেমেয়ে উভয়, ১৮ বছর বয়সে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ পায়। এই প্রশিক্ষণ তাদের জাতীয় ঐক্য, আত্মরক্ষা ও মনোবল গড়ে তোলে।

এই উদাহরণগুলো একটি সাধারণ বাস্তবতা তুলে ধরে যে জাতি শান্তিকালেও সংগঠিত, প্রশিক্ষিত ও প্রস্তুত থাকে, তাদের স্বাধীনতা কখনোই হুমকির মুখে পড়ে না। বাংলাদেশকেও তাই কেবল অস্ত্র কেনা নয়, মানুষ গড়া ও প্রস্তুত রাখার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

৫. অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধা

জনগণভিত্তিক প্রতিরক্ষা কাঠামো কেবল সামরিক নিরাপত্তা জোরদার করে নয়- এটি একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করতেও সহায়ক। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে কেন্দ্র করে গঠিত এই বাহিনী রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য এক অবিচ্ছেদ্য সম্পদে পরিণত হয়।

সামরিক ও অসামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণরা শিখে আত্মনির্ভরতা, নেতৃত্ব, দলবদ্ধতা ও দায়িত্ববোধ। এটি তাদের কর্মজীবন ও সমাজজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এক ধরনের জাতীয় চরিত্র গড়ে তোলে। রাষ্ট্র যখন নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেয়, তখন সেটি শুধুই যুদ্ধের জন্য নয়। তারা দুর্যোগ মোকাবেলা, উদ্ধার তৎপরতা, পরিবেশ সুরক্ষা, প্রযুক্তি সহায়তা ইত্যাদিতেও দক্ষ হয়ে ওঠে।

ভূমিকম্প, বন্যা, অগ্নিকাণ্ড বা মহামারীর মতো সঙ্কটে পিপলস আর্মি হতে পারে সর্বাধিক দ্রুত সাড়া দেয়া বাহিনী। একদিকে এটি সেনাবাহিনীর ওপর চাপ কমায়, অন্যদিকে নাগরিক সুরক্ষা জোরদার করে। প্রশিক্ষণ, দায়িত্ব ও গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে তরুণদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, মাদকাসক্তি বা উগ্রবাদ থেকে দূরে রাখা সম্ভব। ভিন্ন শ্রেণী, ধর্ম, অঞ্চল ও ভাষাভাষীর মানুষকে একত্রে প্রশিক্ষণ দিলে তৈরি হয় জাতীয় ঐক্যের বন্ধন।

ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ

নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে; অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি থাকবে না। গোপনীয়তা রক্ষার প্রশিক্ষণ ও নজরদারি জোরদার করতে হবে। প্রশিক্ষণে সহনশীলতা, জাতিগত ভারসাম্য ও শান্তি বজায় রাখার বিষয় গুরুত্ব দিয়ে শেখাতে হবে।

আইনগত ও নীতিগত কাঠামো

নতুন বাহিনীর বৈধতা নিশ্চিত করতে দফা সংযোজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং সংসদ-রাষ্ট্রপতি দ্বিপক্ষীয় সম্মতি আবশ্যক। বাহিনীকে দলের আগ্রাসন ও প্রভাব থেকে রক্ষা করতে নিয়োগ ও তদারকিতে কোনো ধরনের দলগত দখলদারিত্ব নিষিদ্ধ করতে হবে। স্পষ্ট আইনগত কাঠামো থাকবে। এক্ষেত্রে বিচারিক প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা অপরিহার্য।নির্ধারিত বাজেট বরাদ্দ ও অডিট সাপেক্ষে ব্যবহার স্বচ্ছ রাখতে হবে। বাহিনীর কার্যক্রমে অতিরিক্ত দক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন্ন রাখতে হবে।

একটি জনগণভিত্তিক প্রতিরক্ষা কাঠামো গঠনের সুফল কেবল প্রতিরক্ষা খাতে নয়- সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতেও ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণেই এ উদ্যোগকে কেবল ‘সামরিক প্রস্তুতি’ হিসেবে নয়; বরং ‘জাতিগঠনের অংশ’ হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত।

লেখক : সিনিয়র ফেলো, এসআইপিজি

নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি

[email protected]

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *