প্রথম আলো
পুতিন জানেন, ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার চান। তাই তাঁর চাল হলো—ট্রাম্পকে বলা, যুদ্ধ একদিন শেষ হবে, আর তখন কৃতিত্ব পাবেন ট্রাম্প। শর্ত একটাই, তাঁরা যেন আলাপ চালিয়ে যান। আলাস্কা ছাড়ার আগে পুতিন বলেও ফেললেন, ‘পরেরবার মস্কোয়?’ পুতিন ঠিক করেছেন, তিনি একদিকে আলোচনা চালাবেন, অন্যদিকে ইউক্রেনে বোমা ফেলতেই থাকবেন।
এখন যেহেতু ট্রাম্প রাশিয়ার কাছ থেকে কোনো নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি আনতে পারেননি, তাঁর সামনে দুটি পথ আছে। এক. তিনি কল্পনার দুনিয়ায় পড়ে থাকবেন। দুই. তিনি যুদ্ধকে পুতিনের জন্য কঠিন করবেন, আর এর মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি এগিয়ে আনবেন।
যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতি এসব অদ্ভুত ছাড়কে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ট্রাম্প চাইলে এখনই এক সংবাদ সম্মেলনে সব তুলে নিতে পারেন। আমেরিকার হাতে যুদ্ধের গতিপথ পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নীতি-অস্ত্র আছে; প্রয়োজনে তা ব্যবহারও করা যেতে পারে। কিন্তু ট্রাম্প তা করবেন বলে মনে হয় না।
ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, পুতিন যদি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি না মানেন, তবে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হবে। কিন্তু এগুলো কেবল কথার কথা। এখন আলাস্কায় এসে পরিষ্কার হয়েছে—এটিই তাঁর ‘আলটিমা থুলে’, এটিই তাঁর কল্পনার জগতের সীমান্ত। এখান থেকে ট্রাম্প কোথায় যাবেন?
স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ
টিমোথি স্নাইডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঙ্ক স্কুল অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসির মডার্ন ইউরোপিয়ান হিস্ট্রির চেয়ার।