পেহেলগাম হামলার মূল অভিযুক্তসহ ৩ জনকে হত্যার দাবি ভারতের

Kalbela News | RSS Feed

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করার দাবি করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। পার্লামেন্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ‘অপারেশন সিঁদুর’ মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এ খবর চাউর হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা অপারেশন চালিয়ে ৩ জনকে হত্যা করেছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ‘অপারেশন মহাদেব’ নামে একটি বিশেষ যৌথ অভিযান চালিয়ে পেহেলগাম হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সুলেমান ওরফে হাশিম মুসাসহ আরও দুই সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ভারতের দাবি, নিহত সুলেমান ওরফে হাশিম মুসা পেহেলগাম হামলার মূলহোতা। তিনি লস্কর-ই-তৈয়েবা নামক পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য এবং পেশাদারভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতেও কাজ করেছেন। অবশ্য ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং দিল্লি তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণও হাজির করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় একটি পর্যটনস্থলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে, যাতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে এই ঘটনা।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই হামলার তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিতের ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সুলেমানের সন্ধানে ঘোষণা করে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার।

সবশেষ, আজ সোমবার ‘অপারেশন মহাদেব’ নামের এই অভিযানে অভিযুক্ত সুলেমান ওরফে হাশিম মুসা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে অংশ নেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ বাহিনী।

খবরে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীনগরের একটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের অবস্থান শনাক্ত করা হলে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় অঞ্চলটি। শুরু হয় তীব্র বন্দুকযুদ্ধ। নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষে সুলেমানসহ আরও দুই শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী আবু হামজা ও ইয়াসির নিহত হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পুরো অঞ্চলজুড়ে চিরুনি অভিযান চলছে এবং অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সম্ভাব্য গোপন আস্তানার খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *