Google Alert – সেনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পোর্টল্যান্ডে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রয়োজনে ‘পূর্ণ শক্তি’ ব্যবহারেরও অনুমতি দিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পাশাপাশি কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, পোর্টল্যান্ডে অবস্থিত ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কেন্দ্রকে সুরক্ষিত রাখতে সেনা মোতায়েন করা হবে। কারণ, অ্যান্টিফা ও অন্যান্য দেশীয় সন্ত্রাসীরা নিয়মিত হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে এই কেন্দ্র রক্ষায় ‘পূর্ণ শক্তি’ ব্যবহারেরও অনুমোদন দেওয়া হলো।
বিবিসি ও তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ফেডারেল ভবন ও শহরের জননিরাপত্তার ওপর হুমকি মোকাবিলায় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া মেমফিস, টেনেসিতেও সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে লস অ্যাঞ্জেলেসে মেরিন সেনা পর্যন্ত পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প।
গত কয়েক মাস ধরে পোর্টল্যান্ডের দক্ষিণ জলতটে অবস্থিত আইসিই ভবনের সামনে প্রতিদিনই বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছেন। সেখানে ফেডারেল এজেন্ট ও বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি অবস্থান চলছে। স্থানীয় নেতারা শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও তারা ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচনা করছেন। তাদের দাবি, আইসিই ভবনটি অনুমোদিত নীতিমালা ভঙ্গ করে রাতারাতি মানুষ আটক রাখছে এবং ভূমি ব্যবহার বিধি লঙ্ঘন করছে। ফলে ভবনটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
ট্রাম্প ঠিক কোন সামরিক বাহিনী পাঠাবেন, তা এখনো স্পষ্ট করে জানাননি। তবে অতীতে তিনি ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েন করেছেন। এবারও অনুরূপ বাহিনী পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর মাধ্যমে তিনি অভিবাসনবিরোধী নীতি বাস্তবায়ন এবং “উগ্র বামপন্থীদের” বিরুদ্ধে তার রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন। প্রায় ২৫ লাখ মানুষের শহর পোর্টল্যান্ডকে এরই মধ্যে ট্রাম্প বারবার লক্ষ্যবস্তু করেছেন। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, বিবিসি