প্রতিহিংসার শিকার অফিসারদের আবেদন পর্যালোচনায় কমিটি

Google Alert – সশস্ত্র

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে (২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত) বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চাকরিতে বঞ্চনা, অবিচার ও প্রতিহিংসার শিকার হওয়া অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের আবেদন পর্যালোচনা করা হবে। তাই পর্যালোচনা যথাবিহিত সুপারিশের জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজকে সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড লজিস্টিক মহাপরিচালককে সদস্য সচিব করে নয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। সম্প্রতি (১৪ আগস্ট) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চাকরিতে বঞ্চনা, অবিচার ও প্রতিহিংসার শিকার হওয়া অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক যথাবিহিত সুপারিশ পেশ করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড লজিস্টিক মহাপরিচালক সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-মেজর জেনারেল (অব.) মুহম্মদ শামস-উল-হুদা, মেজর জেনারেল (অব.) শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন, রিয়ার এমিরাল (অব.) মোহাম্মদ শফিউল আজম, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মুহাম্মদ শাফকাত আলী, ঢাকার নৌবাহিনী সদর দপ্তর নেভাল সেক্রেটারি এবং ঢাকার বিমানবাহিনী সদর দপ্তর এয়ার সেক্রেটারি।

এতে বলা হয়, সেনাসদর সামরিক সচিব বা তার প্রতিনিধি প্রয়োজন অনুযায়ী কমিটিকে তথ্য প্রদান করবে। কমিটি প্রয়োজন বোধে যেকোনো চাকরিরত বা সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসারকে সদস্য হিসেবে কো-অপট করতে পারবে। কমিটি ভুক্তভোগী কর্মকর্তাদের আবেদন পেশের সময়সীমা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেবে। কমিটি অনধিক দুই মাসের মধ্যে প্রতিটি আবেদন পর্যালোচনা করে বিধিসম্মত সুপারিশ প্রণয়ন করবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কমিটিকে প্রয়োজনীয় সব সাচিবিক সহায়তা দেবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কমিটির জন্য একটি উপযুক্ত দপ্তর ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস সহায়তার ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি কমিটির অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা প্রতি সভার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে নির্ধারিত হারে সম্মানী পাবেন। আর এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *