প্রধান শিক্ষকের ২৩৮২ পদে সরাসরি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু

Google Alert – ইউনূস

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে নিয়োগের চাহিদার তথ্য জানিয়ে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।

পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার কথাটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরাসরি নিয়োগযোগ্য ২ হাজার ৩৮২টি পদে নিয়োগে পিএসসিতে চাহিদা প্রেরণ করেছে। এ ছাড়া মামলার কারণে আটকে থাকা ৩১ হাজার ৪৫৯টি পদ মামলা নিষ্পত্তি হওয়া মাত্র পদোন্নতির মাধ্যমে মন্ত্রণালয় পূরণ করবে বলে জানিয়েছে।

প্রাথমিক গণশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১৪ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশনা দেন। সেই বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে অতি দ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের চাহিদার তথ্য জানিয়ে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, দেশের ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে অনুমোদিত প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ৬৫ হাজার ৫০২টি। বর্তমানে ৩১ হাজার ৩৯৬ জন প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন। আর শূন্য পদ রয়েছে ৩৪ হাজার ১০৬টি।

এর মধ্যে ২ হাজার ৬৪৭টি পদ সরাসরি নিয়োগযোগ্য। এর ১০ শতাংশ সংরক্ষিত রেখে অবশিষ্ট ২ হাজার ৩৮২টি পদে স্বতন্ত্রভাবে সরাসরি নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এসব পদে নিয়োগের জন্য পিএসসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।

এ ছাড়া জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন–সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩১ হাজার ৪৫৯টি পদে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জনবলঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম আরও উন্নত ও গতিশীল হবে। সরকারের প্রত্যাশা, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হবে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *