প্রবল পাহাড়ি ঢলে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা, রাতভর নির্ঘুম তিস্তাপাড়ের মানুষ

Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

তিস্তার পানি ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

 

গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় জেলার কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা এবং আদিতমারী উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি সহজেই লোকালয়ে প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে দিয়েছে। 

 

আকস্মিক এই বন্যায় হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে বহু মানুষ উঁচু বাঁধ, রাস্তা এবং সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

 

এরই মধ্যে স্থানীয়দের অভিযোগ, “ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার” কোম্পানির সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কারণে নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে জলাবদ্ধতা ও উজানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বহু আবাদী জমি এবং ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিদ্যালয় ও ক্লিনিকসহ অনেক স্থাপনা ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

 

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড নামমাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেললেও তা খুব একটা কাজে আসছে না বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। ফলে প্রতি বছর বন্যার মতো এবারও নদী ভাঙন ও প্লাবনের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

 

বর্তমানে ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হলেও স্থানীয়রা বলছেন, উজান থেকে আরও পানি আসার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

ডিবিসি/এমইউএ

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *