প্রবল বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ

Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মধ্যরাত থেকে নদীর বিভিন্ন অংশে ডিম সংগ্রহ শুরু করে জেলেরা। রাত ২টার দিকে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ।

– Advertisement –

শুক্রবার (৩০ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।

– Advertisement –google news follower

জানা গেছে, হালদা নদী হাটহাজারী অংশ মাদার্শা আমতুয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে পুরোদমে রুই জাতীয় মাছ ডিম ছেড়েছে। পরে ডিম হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ শুরু করে।

তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডিম সংগ্রহের পরিমাণ জানা যায়নি।

– Advertisement –islamibank

আরও জানা যায়, এপ্রিল থেকে জুন মাস হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়। মৌসুমের অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে নদীতে পানি বাড়ে। আর এতে মা মাছ ডিম ছাড়ে।

ডিম সংগ্রহকারী তরিকুল কালাম তুহিন জানান, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার হালদা নদীতে কয়েকটি নৌকায় কিছু নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছি। পরে নদীতে শতাধিক নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করার জন্য অপেক্ষা করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দমকা হাওয়া, বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ হওয়ায় হালদা নদীর পানি বেড়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর রহমতে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে হালদা নদীতে পরিপূর্ণভাবে মা মাছ ডিম ছাড়ে।

হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ২টার পর থেকে জোয়ারের সময় হালদা নদীর আমতুয়া অংশে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। সকাল ৭টা পর্যন্ত হালদা নদীর দুই পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করেছেন। এতে ডিম সংগ্রহকারীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার হালদা নদীতে বিভিন্ন স্থানে কয়েকবার সামান্য পরিমাণে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির জেলার বাটনাতলী পাহাড় হতে নেমে সর্পিল ১০৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হালদা নদী মিলেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে। দেশের একমাত্র জোয়ার-ভাটার রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র এই নদীর সুরক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

জেএন/এমআর

KSRM

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *