প্রশাসন-সেনাবাহিনীর সহায়তায় একটি দল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে : জি এম কাদের

Google Alert – সেনাবাহিনী

প্রশাসন-সেনাবাহিনীর সহায়তায় একটি দল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে : জি এম কাদের

সংগৃহীত ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘনিষ্ঠজনেরাই এখন এ সরকারের অধীন নির্বাচন দেয়ার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

আজ সোমবার (২৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, “এখন সরকারের ঘনিষ্ঠরাই বলছেন, এই সরকারের মধ্যেই আরেকটা সরকার আছে।”

তিনি বলেন, “সরকার ঘনিষ্ঠরাই বলছে, এই সরকারের নির্বাচন দেওয়ার সক্ষমতা নেই। তারাই বলছে বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়।”

প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাসদস্যদের সহায়তায় একটি দল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের মতো নিবন্ধিত দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে এই সরকার কীভাবে দলনিরপেক্ষ হয়? তাই অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।”

দেশের বেকারত্ব, বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা, পোশাকশিল্পে সংকটসহ বিভিন্ন সংকট থেকে উত্তরণে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে হবে। সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে কোনো সরকারি দল থাকতে পারবে না।”

বিবৃতিতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করলেই তাকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলে ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। মাইলস্টোন স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে কয়েকজন উপদেষ্টার জনরোষে পড়ার ঘটনা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের অধিকাংশ মানুষকে ফ্যাসিবাদের দোসর বানিয়ে সরকার বিপদে পড়ছে মনে হচ্ছে।’’

সরকার জাতীয় পার্টির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, “আমাদের রাজনীতি করতে দিবে কি না বা নির্বাচন করতে দিবে কি না, তা নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা যেহেতু এ প্রেক্ষাপটে দেশে–বিদেশে গ্রহণযোগ্য করা যাচ্ছে না, সে কারণে জি এম কাদেরবিহীন জাতীয় পার্টি তৈরির অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’’

এছাড়াও জি এম কাদের অভিযোগ করে বলেন, “সরকারের সমালোচনা করায় তার নামে একের পর এক
মামলা দেওয়া হচ্ছে। তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে, পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে
না। জুলাই আন্দোলনের পর মিথ্যা মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের
গ্রেপ্তার করে জামিন দেওয়া হচ্ছে না।”

স্বদেশ প্রতিদিন/আইএমএস

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *