Google Alert – BD Army
গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কিছুদিন পর থেকেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এক ধরনের বিষোদ্গার শুরু হয়েছে। ক্ষমতা হারানোর অন্তর্জ্বালায় ছারখার হয়ে শেখ হাসিনা ও তার অন্ধ অনুসারীরা প্রথমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এ বিষোদ্গার শুরু করলেও অধুনা আরও অনেকেই এ তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার অভিলাষে নানাবিধ অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পেলে-পুষে বড় করে শেখ হাসিনা যেসব কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন, তারা যখন শেষ পর্যন্ত তার গদি রক্ষা করতে পারলেন না, তখন তার তীব্র ক্ষোভের রোষানল গিয়ে পড়েছে সমগ্র সেনাবাহিনীর ওপর। সন্দেহ নেই, আজ যারা সেনাবাহিনী নিয়ে অযথাই কটূক্তি করছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করতে তাদের অবদানও কম ছিল না। কিন্তু ইদানীং তাদের লাগামহীন কিছু বক্তব্য সমাজে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, যা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। মার্চে আমার লেখা এক নিবন্ধে আমি এ বিষয়বস্তু নিয়ে আরও একবার আলোচনা করেছিলাম। সে সময় সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনী নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুকে দেওয়া কিছু বক্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। তার বক্তব্য যেমন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল, জনমনে তেমন আশঙ্কাও তৈরি করেছিল। হাসনাত আবদুল্লাহর ওই ফেসবুক পোস্টের পর দলটির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যকে ‘শিষ্টাচারবর্জিত স্ট্যাটাস’ আখ্যায়িত করেছিলেন; অথচ সেই পাটওয়ারীই সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সদস্যদের মেধা নিয়ে বিরূপ বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
এ তালিকায় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী শুধু একা নন; দেশ ও বিদেশে অবস্থানকারী কিছু গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছু অনভিপ্রেত বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা ও তার আশ্রয়দাতারা এতদিন সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আসছিল, এখন এসব ব্যক্তি তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন। পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টায় তাদের কারও কারও ভূমিকা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই ভারত তার গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। কথিত আছে, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা যে বিপুল পরিমাণ লুটপাটের অর্থ বিদেশে পাচার করেছিলেন, আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তারা সেই অর্থই এখন ঢালছেন। আজ সে আলোচনায় আর যাব না।
এনসিপির নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিতর্কিত বক্তব্যের পর সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের ‘ওরা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে’ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে একজন তারকা সাংবাদিকের বক্তব্য শুনে আমি অবাক হয়েছি। আমি বরাবরই তার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনি। বিভিন্ন টকশোতে নিজস্ব ভাষায় তিনি যে স্টাইলে কথা বলেন আমার ভালো লাগে। এক সন্ধ্যায় এক সামাজিক অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে আমার দেখাও হয়েছিল। শেখ হাসিনার পতনের আগে এবং পরে বিভিন্ন টকশোতে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তিনি অনেকেরই মন জয় করেছেন। তার সঙ্গে পরিচয়কালে আমি সে কথাও উল্লেখ করেছি। কিন্তু তার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য আমাকে দ্বিধায় ফেলেছে। টিভি টকশোতে সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে তিনি সেদিন বলছিলেন, ‘সেনাপ্রধানের বক্তব্য আমার একদমই পছন্দ হয়নি।…একটা জিনিস কী, ওরা বড় হলে বুঝতে পারবে, আর কত বড় হবে ভাই? সবাই বিয়েশাদি কইরা ফেলছে, নাবালকরা বিয়া করে নাকি?…তারা আয়-ইনকাম করতাছে, ক্ষমতাবান লোক।’ তর্কের খাতিরে ধরে নেই এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু তারপর তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা খুবই বিভ্রান্তিকর। শুধু বিভ্রান্তিমূলক নয়, জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। এ পর্যায়ে অনুষ্ঠানের অ্যাংকর সেনাপ্রধানের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে একটা কিছু বলতে গেলে তিনি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এ সেনাবাহিনীর কী হবে না হবে আমি জানি না। বলেন তো এ দেশে সেনাবাহিনীর দরকারটা কী? এ সেনাবাহিনী কী কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবে? কার লগে যুদ্ধে করবে? ইন্ডিয়ার সঙ্গে? ইন্ডিয়ার যে সেনাবাহিনী, ইন্ডিয়ার সেনাবাহিনীর যেসব অস্ত্রশস্ত্র আছে,…আপনাকে একটা কথা বলি, ওই বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে যখন নাকি মোশতাক আহমদ দখল করল ক্ষমতাটা, তখন তো ভয় ছিল ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনী চলে আসে কিনা। তখন সে সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীর সবাইকে নিয়া বসছিল। বইসা বলছিল ইন্ডিয়া যদি অ্যাটাক করে, তাইলে তোমরা কতক্ষণ ফিরাইতে পারবা? বলছে, যে মনে করেন আট-নয় ঘণ্টা! মাত্র আট-নয় ঘণ্টা? ওদের তো আসতেই আট-নয় ঘণ্টা লাগবে।’ এরপর তিনি অ্যাংকরের উদ্দেশে বলেন, ‘ওরা ওই পর্যন্তই পারবে। ওদের আসতে যতক্ষণ লাগে, তারপর আর পারবে না। তো এটা হলো রিয়ালিটি রে ভাই।’
প্রশ্ন হচ্ছে, এ দেশের একজন জ্যেষ্ঠ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হয়ে তিনি যখন কটাক্ষ করে তার নিজ দেশের সেনাবাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন কি তিনি একবারও ভেবেছিলেন তার এ বক্তব্য সাধারণ মানুষের কাছে কী বার্তা দিচ্ছে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা সম্পর্কে তিনি কতটুকু জানেন যে, তিনি হুট করে এ দেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আছে কিনা সে প্রশ্ন তুলেছেন? বাংলাদেশের প্রতিরক্ষানীতি (ডিফেন্স পলিসি) সম্পর্কে তার কতটুকু জ্ঞান আছে? শত্রু মোকাবিলায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কৌশলগত (স্ট্র্যাটেজিক) অবস্থান সম্পর্কেই বা তিনি কতটুকু অবগত? আমি অবাক হয়েছি নিজ দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিয়ে তার এ ধরনের হীনম্মন্যতা দেখে। গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা যখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন থেকেই সে দেশের বিভিন্ন চ্যানেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাপ্লাই করা ন্যারেটিভ ব্যাপক হারে প্রচারিত হতে দেখেছি। ‘র’-এর দেওয়া সেসব ন্যারেটিভ এখনো নেট দুনিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। পাঠক চাইলে তা দেখে নিতে পারেন। আজ যখন একই ধরনের ন্যারেটিভ এ দেশের চিহ্নিত কিছু ব্যক্তির মুখে উচ্চারিত হয়, তখন স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন জাগে, এসব করে তারা কাদের পারপাস সার্ভ করছেন? তাদের সম্পর্কে এ দেশের মানুষেরই বা কী ধারণা হতে পারে? এ ধরনের বালখিল্য বক্তব্য যখন শুনি, তখন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাই না।
শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা যে বাকস্বাধীনতা পেয়েছি, তার সদ্ব্যবহার করতে গিয়ে মনে হচ্ছে, মাঝেমধ্যে কেউ কেউ বেহিসাবি হয়ে পড়ছেন। যে যখন মুখে যা আসছে তা-ই বলে বেড়াচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কেউ কেউ সেনাবাহিনীকে নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা সত্যিই অশোভনীয়। অন্য যে কোনো সংগঠন কিংবা প্রতিষ্ঠানের মতো সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভেতরও কেউ কেউ শৃঙ্খলাবহির্ভূত কাজে লিপ্ত হতে পারেন। তবে সেনাবাহিনীতে এসব অভিযুক্ত ব্যক্তির জন্য কোনো ছাড় নেই। অপরাধের ধরন অনুসারে শাস্তি তাদের ভোগ করতেই হয়। তবে শেখ হাসিনার আমলে এর ব্যতিক্রম যে হয়নি, তা নয়। এখন আর সেই দিন নেই। সেসব দিনের অবসান হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেনাবাহিনী অনেক আগেই সে অভিযোগ পেয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত শুরুও করেছিল। কিন্তু এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাবেক একজন টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপক তার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনাটিকে একতরফাভাবে প্রচার করে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অরুচিকর বক্তব্য দিয়ে যে বাহবা কুড়াতে চেয়েছেন, তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সেনাবাহিনী সম্পর্কে তিনি যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কিছু কিছু ব্যক্তি মনে করেন, বাকস্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা বলে অতি সহজেই জনপ্রিয় হওয়া যায়। আদতে তাই দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের সস্তা বক্তব্য দিয়ে অনেকেই সেলিব্রিটির ইমেজ ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে অতীতে ঘটে যাওয়া আমার একটি অভিজ্ঞতা পাঠকের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমরা ইতিহাসের শিক্ষক মুনতাসীর মামুনের কথা অনেকেই জানি। একটা সময় ছিল (নব্বইয়ের দশক) তিনি সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক লেখালেখি করে লাইম লাইটে থাকার চেষ্টা করেছেন। এমনকি সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি একটি বইও লিখে ফেলেছিলেন। সেনাবাহিনীর প্রতি মুনতাসীর মামুনের এ মনোভাবের কারণ জানার জন্য আমি আমার পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র অধ্যাপকের (পরবর্তীকালে উপাচার্য হয়েছিলেন) শরণাপন্ন হয়েছিলাম। আমার প্রশ্নের জবাবে তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘তোমরা চানমারিতে (ফায়ারিং রেঞ্জ) ফায়ার প্র্যাকটিস করো না? ফায়ার প্র্যাকটিসের সময় কাকে ফায়ার করো? একশত গজ, দুইশত গজ দূরের কাগজ কিংবা টিনের তৈরি টার্গেটে নিশ্চয়ই। তোমার রাইফেলের বুলেটের আঘাত পেয়ে সেই টার্গেট কি তোমাকে পালটা গুলি করতে পারে? না, পারে না। কারণ, তার সেই ক্ষমতা নেই। তোমরা হলে মুনতাসীর মামুনের মতো মানুষের জন্য সেই ধরনের সফট টার্গেট। এরা জানে, তারা যত নোংরা ভাষায় তোমাদের গালমন্দ করুক না কেন, তোমরা পালটা জবাব দিয়ে তাদের পর্যায়ে নিজেদের নামাতে পারবে না। সে সুযোগটাই তারা নেয়। এ দেশে সেনাবাহিনী এমন একটি স্পর্শকাতর সংগঠন, যাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে কেউ কেউ মনে করে তারা জাতে উঠে গেছে।’
যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন তাদের মনে রাখা উচিত জনগণকে ভিত্তি করেই মুক্তিযুদ্ধের সময় এই সেনাবাহিনীর জন্ম। মুক্তিযুদ্ধ সম্পন্ন হতো না, সেদিন বাঙালি সেনাসদস্যরা যদি প্রশিক্ষণ শিবিরে শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে, তাদের কাঁধে কাঁধ রেখে, যুদ্ধের ময়দানে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করতেন। ২০০১ সালে তৎকালীন বড়াইবাড়ি বিডিআর সীমান্ত চৌকি দখল করতে এসে ভারতীয় বাহিনী কীভাবে মার খেয়েছিল সে স্মৃতি আমাদের স্মৃতি থেকে আজও মুছে যায়নি। বিডিআর (বিজিবি) কিন্তু সামরিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়ে থাকে। তাছাড়া সত্তর-আশির দশকে ভারত শান্তিবাহিনী সৃষ্টি করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে দুই দশক ধরে যে চেষ্টা করেছিল, এই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীই কিন্তু বাংলাদেশ অখণ্ডতাকে রক্ষা করেছে। নব্বইয়ে এরশাদের পতন হতো না, তরুণ কর্মকর্তারা সেদিন যদি মিছিলের ওপর গুলিবর্ষণ করতে অস্বীকার না করতেন। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনারও এত সহজে পতন হতো না, যদি সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে গিয়ে না দাঁড়াত। সস্তা বক্তব্য দিয়ে যারা সহজেই জনপ্রিয় হতে চান তাদের মনে রাখতে হবে, নির্ভয়ে-নির্দ্বিধায় প্রকাশ্যে আজ যে বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাও সম্ভব হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে। বিকৃত রুচির বক্তব্য দিয়ে কিছু অর্জন করা যায় না, বরং তাতে বিকৃত মানসিকতারই পরিচয় পাওয়া যায়। কারোর বিরুদ্ধে আপত্তি থাকতে পারে, তাই বলে পুরো বাহিনীকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। জাতীয় স্বার্থেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা উচিত নয়।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কলাম লেখক