প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম আলো

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে নির্বাচন কমিশনকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনার কথা  উল্লেখ করে বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন করতে চাই, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। উল্লেখ্য, গত তিনটি প্রহসনমূলক নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেননি; বিশেষ করে ২০০৮ সালের পর যঁারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তঁারা এই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের নির্বাচনটি হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যাতে প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীসহ সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

এর আগে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান হলে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে। এবার প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করেই বলেছেন, রোজার আগে নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যে জুলাই সনদ সই হওয়ার কথা, সেটাও প্রায় চূড়ান্ত বলে জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তবে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছাই যথেষ্ট নয়; রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় সহযোগিতাও আবশ্যক।  জুলাই ঘোষণাপত্রে যেসব অঙ্গীকার ও প্রত্যয় ঘোষিত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন তথা ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণে দলমত–নির্বিশেষে সবাই একযোগে কাজ করবে, এটাই প্রত্যাশিত।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *