Google Alert – প্রধান উপদেষ্টা
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৮০ ভাগ প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি এবং ২০ ভাগ পদে নিয়োগের মাধ্যমে শূণ্য পদ পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি জানান, শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় বিষয়টি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্কুলগুলোর নানা সমস্যা তুলে ধরে সেগুলো সমাধানের উপায় জানিয়ে অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন,শিক্ষক-ছাত্রের সাথে কতটুকু সময় দিতে পারছেন সেটি আমাদের দেখতে হবে। স্কুলগুলো মাত্র ১৮০ দিন মাত্র খোলা থাকছে। অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমানো হতে পারে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সাথে নিয়ে কাজ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের শিক্ষাবহির্ভূত কাজ থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, স্কুলগুলোতে অনেক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ৩২ হাজার প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই। মামলার জন্য পদোন্নতি আটকে আছে। মামলাটা যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আর শিক্ষকদের বদলি শতভাগ অনলাইনে করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো: মাসুদ রানা এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার বর্তমানে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর, যারা কখনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য এই জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাক্ষরতার সংজ্ঞা কেবল অক্ষরজ্ঞান বা স্বাক্ষর করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সাক্ষরতা বলতে মাতৃভাষায় পড়তে পারা, অনুধাবন করা, মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রকাশ করতে পারা, গণনা করতে পারা এবং ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারাকে বোঝায়। মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য মৌলিক শিক্ষা, দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা, জীবনব্যাপী শিক্ষা ও বাজার চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ অনুসারে বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু ও নিরক্ষর প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় ১০-১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, বছর ও তদূর্ধ্ব নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরজ্ঞান, জীবিকায়ন দক্ষতা ও জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।