Jamuna Television
খুলনা ব্যুরো:
খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে কেএমপি সদর দফতরের সামনে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, জুলফিকার আলী কেএমপি কমিশনারেরর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার খুলনার ইস্টার্ন গেইট এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এসআই সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। খুলনায় একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে এ ঘটনার শিকার হন তিনি। পরে রাতে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুই দিন কেএমপির সদর দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারসহ কয়েকজন কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপেই সুকান্তকে ছাড়া হয়।
এর মধ্যে এসআই সুকান্তকে গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় একটি মামলা হয়, যেখানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া, বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ আরও দুটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে কেএমপির কমিশনারের অপসারণে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। শনিবার দুপুর ১২টায় সেই সময়সীমা শেষ হয়। তারপরই বিকেল থেকে আবার কেএমপি সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে, খুলনায় সফররত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম খুলনা প্রেসক্লাব পরিদর্শনে গেলে সেখানে যান আন্দোলনকারীরা। তারা প্রেস সচিবের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং কেএমপি কমিশনারের অপসারণের ইস্যুতে কথা বলেন।
/এমএন