CHT NEWS
| এক গ্রামবাসীর বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতকৃত জায়গায় হেলিপ্যাডের চিহ্ন দিয়েছে সেনাবাহিনী। |
লক্ষীছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলাধীন বর্মাছড়ি আর্যকল্যাণ বনবিহারের পাশের একটি
জায়গায় চলছে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের পাঁয়তারা! সেখানে এক গ্রামবাসীর বসতভিটায় বাড়ি তৈরির
জন্য প্রস্তুতকৃত জায়গায় দেওয়া হয়েছে হেলিপ্যাডের চিহ্ন। আশেপাশে খাটানো হয়েছে বেশ
কয়েকটি তাঁবু।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) সকাল থেকে সেনারা গ্রামবাসীর সৃজিত গাছের বাগান
কেটে ক্যাম্প তৈরির জায়গা প্রস্তুত করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বাগানের বেশকিছু গাছ সেনারা
কেটে দিয়েছে।
![]() |
| সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জায়গা প্রস্তুত করতে গিয়ে গ্রামবাসীর সৃজিত বাগানের বেশ কিছু গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। |
গত ১৮ অক্টোবর খিরাম আর্মি ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প কমান্ডার মেজর সাইফুর রহমান
তুর্যোর নেতৃত্বে ২০ জনের একটি সেনা দল বর্মাছড়ি বাজার এলাকায় যায়। এরপর থেকে সেনারা
উক্ত স্থানে তাঁবু খাটিয়ে রাখে। তবে রাতে তারা অবস্থান করেন ফটিকছড়ি ইউনয়ন পরিষদ ভবনে।
অপরদিকে, শুকনাছড়ি সাবজোন থেকে ২০ জনের একটি সেনাদল বর্মাছড়ি ইউনিয়নের হুদুকছড়িতে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
![]() |
| সেনারা উক্ত জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে রেখেছে। |
এদিকে, আজ আর্যকল্যাণ বনবিহারে চলছে ১৮তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান। গতকাল
সেনারা বিহারে গিয়ে তাদেরকে আমন্ত্রণ করা হবে কি-না সে বিষয়ে ভিক্ষুদের কাছ থেকে জানতে
চেয়েছেন। আমন্ত্রণ দেওয়া না হলে তারা ‘ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে’- এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন
বলে জানা গেছে। ফলে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কিনা সে বিষয়ে স্থানীয়রা আশঙ্কা
প্রকাশ করছেন।
এলাকাবাসী সেখানে নতুন কোন সেনা ক্যাম্প চায় না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তারা
বলেছেন, বর্মাছড়ি বাজারের কিছু দূরে খিরাম আর্মি ক্যাম্প ও শুকনাছড়ি সাবজোন রয়েছে।
ফলে সেখানে আর কোন ক্যাম্পের প্রয়োজন নেই। তাছাড়া বর্মাছড়ি এলাকার পরিস্থতি সম্পূর্ণ
স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
তারা অন্যায্যভাবে সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করা হলে তা মেনে নেবেন না বলে
স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


