Google Alert – বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিল হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণ দাপট দেখানোর। তবে শেষ ম্যাচে এসে ছন্দপতন ঘটে লিটন দাসের দলের। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা, যা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। সেই সুযোগে ম্যাচ জিতে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া থেকে নিজেদের সম্মান বাঁচিয়েছে সফরকারী পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ১৭৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ।
এদিন শুরুতেই ঝটকা খায় দল। ফর্মে থাকা তানজিদ তামিম ডাক মেরে ফিরলে চাপ বাড়ে দলের ওপর। অধিনায়ক লিটন দাস ছিলেন সেই চাপ কাটানোর আশায়, কিন্তু তিনিও হতাশ করেন। মাত্র ৮ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনিও।
চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ শুরুতে কিছুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেললেও তা ধরে রাখতে পারেননি। ফাহিম আশরাফের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৮ বলে ৯ রান করে।
এরপর মধ্যভাগে ব্যাট হাতে ভরসা জোগাতে ব্যর্থ হন জাকের আলি ও শেখ মেহেদী হাসান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানি পেসার সালমান মির্জা। ফলে মাত্র ২৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান।
এদিন শামীম পাটোয়ারী ভালো শুরু ইঙ্গিত দিলেও স্ট্যাম্প ছেড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। শেষদিকে সাইফুদ্দিনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কেবল কমাতে পেরেছে টাইগাররা। তার সাথে নাসুম ৯, তাসকিন ও শরীফুল সমান ৭ রান করে করলে কোনোমতে শতরান পার করেছে বাংলাদেশ। সাইফুদ্দিন শেষপর্যন্ত ৩৪ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ ১০৪ রান করে অলআউট হলে ৭৪ রানের জয় পায় সফরকারীরা।
এর আগে, পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে শাহিবজাদা ৬৩, মোহাম্মদ নওয়াজ ৩০, ও হাসান নওয়াজ করেন ৩৩ রান। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ নেন ৩টি উইকেট, নাসুম আহমেদ ২টি এবং শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন।
শেষ ম্যাচ হেরে গেলেও সিরিজ জয় থাকছে বাংলাদেশের দখলে। তবে হোয়াইটওয়াশের মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগটি হাতছাড়া হওয়ায় আক্ষেপ থেকেই গেল টাইগারদের মনে।