বাংলাদেশে ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে’ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত

Google Alert – বাংলাদেশ

ভারত ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে’ বাংলাদেশে একটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।


বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ অবস্থান তুলে ধরেন বলে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে।


জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশ বিষয়ে, বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে আমাদের অবস্থান আমরা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছি এবং তা ধারাবাহিকভাবে করে আসছি।


“দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেট নির্ধারণ করতে হবে।”


বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জয়সওয়াল বলেন, ভারত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ‘ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক’ চায়, যা হবে দুই দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও স্বার্থরক্ষায় বদ্ধপরিকর।


হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ‘ভারতীয় আধিপত্যকে’ সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে মন্তব্য করেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।


এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জয়সওয়াল বলেন, সরকার পরিচালনার সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকেই পালন করতে হবে।


“এ ধরনের বক্তব্য এলে মনে হয়, আপনি সরকার চালানোর চ্যালেঞ্জগুলো থেকে দৃষ্টি সরিয়ে অন্য দিকে ঘোরাতে চাইছেন। অন্যদের এবং বাইরের বিষয়গুলোকে দায়ী করাটা সমস্যার সমাধান নয়।”


৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে এক ধরনের টানাপড়েন চলছে। বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি দিল্লিতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রচেষ্টার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে এনেছে ইউনূস সরকার।


অপরদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত সরকার। পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও অপতথ্য’ এবং ‘অতিরঞ্জিত প্রচারণার’ অভিযোগ বাংলাদেশ সরকার করেছে।


বিভিন্ন বিষয়ে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্ত ইস্যু এবং শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক তলবের ঘটনাও ঘটেছে।


কূটনৈতিক টানাপোড়নের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ঘটনাও ঘটে।


সবশেষ ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *