বাস্তবতা প্রত্যাশা ভঙ্গের জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে: আনু মুহাম্মদ

Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ধীরে ধীরে বাস্তবতা প্রত্যাশা ভঙ্গের জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। একদিকে সামাজিকভাবে বল প্রয়োগের শক্তি তৈরি হচ্ছে- যারা মিথ্যা, কুৎসা ও ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে নব্য ফ্যাসিবাদকে জানান দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এর বিপরীতে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের নির্লিপ্ততা দেখা যাচ্ছে সমাজে নানা বর্গের নিপীড়নের বাস্তবতায়। বিভিন্ন ধরনের বিভাজনের রাজনীতির পুরোনো বন্দোবস্ত পুনঃস্থাপিত হচ্ছে।

শনিবার (৩১ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট আয়োজিত ‘নাগরিক সংহতি সমাবেশ’ এ এসব কথা বলেন তিনি।

‘যুদ্ধাপরাধী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দায়মুক্তি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে’ গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে এ সমাবেশ করা হয়।

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা দাবি করেন, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রশিবির ন্যক্কারজনক হামলার মাধ্যমে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করেছে।

সমাবেশের শুরুতে ১৯৮৮ সালে তৎকালীন ছাত্র মৈত্রী রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সভাপতি ডা. জামিল আখতার রতনের ৩৭তম শহীদ দিবসে শহীদ জামিলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতারা সমাবেশের মঞ্চে নির্মিত শহীদ জামিলের অস্থায়ী প্রতীকী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশীদ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ধীরে ধীরে বাস্তবতা প্রত্যাশা ভঙ্গের জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। একদিকে সামাজিকভাবে বল প্রয়োগের শক্তি তৈরি হচ্ছে- যারা মিথ্যা, কুৎসা ও ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে নব্য ফ্যাসিবাদকে জানান দিচ্ছে। এর বিপরীতে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের নির্লিপ্ততা দেখা যাচ্ছে সমাজে নানা বর্গের নিপীড়নের বাস্তবতায়। বিভিন্ন ধরনের বিভাজনের রাজনীতির পুরনো বন্দোবস্ত পুনঃস্থাপিত হচ্ছে।

মাওলানা ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. হারুন-অর-রশীদ বলেন, চট্টগ্রামের নারী নির্যাতনকারীকে এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি, যা প্রমাণ করে আক্রমণকারীরা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মেনে নেয় না। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রশ্ন তোলেন, জুলাইয়ের ঐক্য কীভাবে ভাঙছে জামাত-শিবির তা আজ দেখার বিষয়। জুলাইয়ে ছাত্রলীগের হাতে আহত হয়ে মাথায় পাঁচটি সেলাই নিয়ে বেঁচে যাওয়া শ্রীকান্তের মাথায় শিবিরের হামলায় ছয়টি সেলাই পড়েছে। এভাবে ঐক্য অটুট রাখা যাবে কিনা তা তিনি প্রশ্ন করেন। তিনি তার বক্তব্যে সরকারকে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা রিতু, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট মতিন সরকার, শ্রমিক নেতা শামীম ইমাম, শ্রমিক নেতা মানস নন্দী, বাংলাদেশ উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, আরিফ নুর, সাংবাদিক আনিস রায়হান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চাকমা।

এফএআর/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *