বিএনপি নেতার বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধার, তদন্ত করছে পুলিশ

Google Alert – সেনা

গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতার বাসা থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় পাইপগান ও গুলি উদ্ধার করেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান শুক্রবার বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়া এলাকায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চিকিৎসক কে এম বাবরের ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে দেশীয় পাইপগান ও একটি গুলি উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।

কে এম বাবর বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক।

পুলিশ জানায়, রাত ২টার দিকে বাবরের বাসায় সেনা ও পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় বাসার বাথরুমের ফ্ল্যাশারের মধ্যে পলিব্যাগে পেঁচানো অবস্থায় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা কে এম বাবর বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি ঢাকায় যাই। মা ১৫ দিন আগে গ্রামের বাড়িতে যান। অভিযানের সময় বাসায় আমার স্ত্রী, দুই সন্তান ও গৃহকর্মী ছিল।

রাত ২টার দিকে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বাসায় গিয়ে পরিচয় দেওয়ার পর আমার স্ত্রী গেইট খুলে দেয়। তারা বাসায় প্রবেশের কয়েক মিনিটের মধ্যে আমার মায়ের কক্ষের বাথরুমে গিয়ে ফ্লাশারের ভেতর থেকে একটি পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগ বের করে। ব্যাগ খুলে দেখা যায়, এর মধ্যে লেদ মেশিনে তৈরি দেশীয় একটি পাইপগান ও একটি গুলি রয়েছে। অথচ আমার বাসায় একটা চাকুও থাকে না। আমাকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ এই কাজ করেছে।

প্রতিপক্ষ কারা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন অথবা আমার দলীয় সংগঠনের লোকজনও হতে পারে। তবে আমার সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণা নেই। আমি সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে অনুরোধ করছি, বিষয়টি তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন হবে। যারা এ তথ্য দিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বের হবে।

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের প্রাথমিক ধারণা, প্রতিপক্ষ চিকিৎসককে ঘায়েল করতে এটা করতে পারে বা অন্য কোনো কিছু হতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই আপাতত মামলা করা হচ্ছে না। তদন্তের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *