প্রথম আলো
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘যৌক্তিক সময়’ দেওয়ার কথা বললেও কার্যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায় তারা। এ ক্ষেত্রে বিএনপি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো করে নির্বাচন আশা করে। এর কারণ, বিএনপির নেতারা মনে করেন, নির্বাচন যত পেছাবে, তাতে ভোটের মাঠে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে খুব চাপও দিতে পারছে না। কারণ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার শেষে তারপরই নির্বাচন করার পক্ষে জনমত বেশি।
যদিও মির্জা ফখরুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপিতে কোনো অস্থিরতা নেই।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঠিক করা—এগুলো তাঁরা (অন্তর্বর্তী সরকার) যত দ্রুত করবেন, তত এগিয়ে যাবেন। ইতিমধ্যে বিচার বিভাগ কিছুটা ঠিক হয়ে এসেছে। আর মৌলিক পরিবর্তনগুলো করবে তো সংসদ। আমি মনে করি না এগুলোর জন্য বেশি সময়ের দরকার আছে। বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করে।’
অবশ্য বিএনপির দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার সঙ্গে জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ আরও কিছু দলের কিছুটা ভিন্ন অবস্থান আছে। এ দলগুলোর শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যে সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘প্রয়োজনীয়’ সময় দেওয়ার কথা বলেছেন।