Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
ধর্ষণের ঘটনা আড়াল করতে সংবাদমাধ্যমকে সেন্সর করা, মামলা নিতে পুলিশের অনিহা, মামলা নিলে ডাক্তারি পরীক্ষা দেরিতে করে আলামত নষ্ট করা, দুর্বল এজাহার করে আসামির জামিন নিশ্চিত করার মতো অভিযোগও আছে সেই তালিকায়৷
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (আজ) অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। আরো দুই পার্বত্য জেলা রাঙামাটি এবং বান্দরবানেও বিক্ষোভ হয়ে। প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায়।
আগামীকাল (শুক্রবার) খাগড়াছড়িতে মহা সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই প্রতিবাদ আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী উক্যেনু মারমা।
বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধের কারণে ঢাকা-খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা।
খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের চেঙ্গীব্রিজ এলাকা, স্বনির্ভর এলাকা, খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের পেরাছড়া, টেকনিক্যাল স্কুল, খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের চার মাইল, নয় মাইলসহ বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধ চলাকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেনাসদস্যরাও মাঠে ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে খাগড়াছড়ি সদরে এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ও্ই কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে ডয়চে ভেলেকে জানান তার বাবা। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
কিশোরীর বাবা বুধবার ভোরে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট থেকে ফেরার পথে ওই কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়।
কিশোরীর বাবা ডয়চে ভেলেকে বলেন, “অচেতন অবস্থায় পাওয়ার পর মেয়েকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে এখনো ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমার মেয়ে ধর্ষণে তিনজন জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে। ”
সদর থানা পুলিশ জানায়, তারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার (আজ) রিমান্ডে নিয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও দাবি তাদের। পুলিশ আরো জানায়, ওই কিাশোরীর মেডিকেল টেস্ট করার পর জবানবন্দিও নেয়া হয়েছে।
ঘটনার পর বুধবার সকালে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। তারা অপরাধীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারই ধারাবাহিতকতায় বৃহস্পতিবার (আজ) সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
কেন এই অবরোধ?
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা উক্যেনু মারমা ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা অবরোধ পালন করেছি। শুক্রবার আমরা খাগড়াছড়িতে মহাসমাবেশ ডেকেছি। ওই সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি দেবো।”
তিনি অভিযোগ করেন, ” দেড়মাস আগে খাগড়াছড়ি সদরের বাইগুনছাড়া ইউনিয়নেও এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হন। মামলা হলেও কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিন মাস আগে বান্দরবনের থানচিতে আরো এক আদিবাসী নারী ধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায়ও কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। ”
“আসলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এক ভিন্ন পরিস্থিতি। আমরা মনে করি, এই ঘটনাগুলো টার্গেটেড, পরিকল্পিত। অবদমনের অংশ। এখানে তাই কোনো ঘটনা ঘটলে যথাযথ বিচার হয় না। একটি বাহিনীর প্রভাব থাকে।”
বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের খাগড়াছড়ি জেলার সভাপতি ওয়াইবাই মারমা ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর সার্বিক অবস্থা জানিয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, “সে এখন মোটামুটি সুস্থ, তবে তার মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ”তিনি আরো বলেন, “আমাদের এখানে এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। পুলিশ প্রশাসনের কাছে গেলে তারা এটাকে ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ বলে মামলা করতে নিরুৎসাহিত করে। তারা বলে, এটা তো ঘটতেই পারে। প্রভাবশালীরা চাপ দিয়ে বা টাকার বিনিময়ে পুলিশের সহায়তায় মীমাংসা করার চেষ্টা করে। তাই মামলা নিতে দেরি করে। সময় নষ্ট করে। নানা ভয় দেখায় যে, মামলা করলে আপনারাই সমস্যায় পড়বেন। ”
“মামলা নিলেও শেষ পর্যন্ত এজাহার হালকা করে দেয়, যাতে আসামি গ্রেপ্তার হলে জামিনে ছাড়া পায়। ফলে, যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের কাউকেই ছয় মাসের বেশি কারাগারে থাকতে হয়নি,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের খাগড়াছড়ি জেলার সভাপতি ওয়াইবাই মারমা ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলার সময় দাবি করেন, কখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে ধর্ষকের কোনো শাস্তি হয় না, ” দুই-একজন আটক হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো ধর্ষকের শাস্তি হয়েছে এমন উদাহরণ আমার জানা নেই৷”
তার দাবি, “যারা ধর্ষণের শিকার হন, তারা সবাই আদিবাসী। কিন্তু ধর্ষক যারা, তারা আদিবাসী নয়। ফলে, ধর্ধণের শিকার নারী ও তার পরিবার রাজনৈতিকসহ নানা চাপের মুখে পড়ে।”
সদরে ওই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার পর আজ (বৃহস্পতিবার) দীঘিনালায় এক আদিবাসী নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় অবশ্য ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের খাগড়াছড়ি জেলার সভাপতি ওয়াইবাই মারমা।
এক বছরে সাত ধর্ষণের বিচার না পাওয়ার ক্ষোভ?
খাগড়াছড়িতে মঙ্গলবার রাতের ধর্ষণের ঘটনার বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার (আজ) ঢাকায়ও আদিবাসী শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শান্তিময় চাকমা ডয়চে ভেলেকে বলেন,” আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি, পুলিশ ও প্রশাসন ধর্ষকদের পক্ষেই অবস্থান নেয়। আমরা কোনো বিচার পাচ্ছি না। আমরা বিচার চাই। আমরা চাই ধর্ষকদের শাস্তির আওতায় আনা হোক, নয়তো আমরা বড় আন্দোলন গড়ে তুলবো।”
তিনি অভিযোগ করেন, ” অনেক ঘটনা মূল ধারার গণমাধ্যমে আসে না। দুই-একটি ঘটনা আলোচনায় এলে তখন সংবাদমাধ্যমগুলো সক্রিয় হয়। ফলে, পাহাড়ের বাস্তব পরিস্থিতি দেশের মানুষ জানতে পারে না। ওখানে সংবাদমাধ্যমকে সেন্সর করা হয়।”
খাগড়াছড়ির মহিলা কল্যাণ সমিতি ধর্ষণের শিকার নারীদের নিয়ে কাজ করে। তারা আইন ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়। তাদের হিসাব অনুযায়ী, গত এক বছরে এই জেলায় সাতজন পাহাড়ী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে তিনটি। তাদের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণই বেশি হয়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মনীষা তালুকদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আসলে এখানে ধর্ষণের বিচার পাওয়া যায় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আসামি ধরা পড়লেও তারা পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। ডিএনএ’র মিল না পাওয়া এখানে একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে।”
তার কথা, “ধর্ষণের মামলা থেকে শুরু করে, ডাক্তারি পরীক্ষা, জবানবন্দি নেয়া, আসামি গ্রেপ্তার সব ক্ষেত্রেই সময়ক্ষেপন করা হয়। বিশেষ করে ডাক্তারি পরীক্ষায় দেরি করায় ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। আর সেটাই ধর্ষকের পক্ষে যায়।”
“আমরা এটা নিয়ে পুলিশ, প্রশাসন, চিকিৎসক সবার সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছি না। আমরা বারবার ভিক্টিমের শরীরে নানা ধরনের চিহ্নসহ পারিপার্শ্বিক বিষয়কেও আমলে নেয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা বলছেন- উপায় নেই। আর ডিএনএ টেস্ট নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে,” বলেন তিনি।
মণীষা তালুকদার ডয়চে ভেলেকে জানান,” করোনার সময় এক প্রতিবন্ধী নারী ১২ জনের একটি ডাকাত দলের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাত দল ডাকাতি ও ধর্ষণ করে। কয়েকজন আসামি ধরাও পড়েছিল। কিন্তু পরে তারা সবাই জামিনে ছাড়া পায়। বলা হয় ডিএনএ টেস্টে মেলেনি। এর চেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে?”
ডয়চে ভেলের কাছে আরেক ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন,
“গত ডিসেম্বরে খাগড়াছড়ি সদরে একটি মেয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পর তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে গিয়েছিল। অচেতন অবস্থায় পড়েছিল মেয়েটি। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সে প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু সে প্যারালাইজড হয়ে গেছে। ওই ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছিল। কিন্তু গত ঈদে সে জামিন পায়। ঈদ উপলক্ষে তাকে জামিন দেয়া হয়। সেখানেও বলা হয়েছে, তার ডিএনএ মেলেনি। আরো বলা হয়, আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি। আসামি কি অপরাধ স্বীকার করতে চায়?”
খাগড়াছড়ির মহিলা কল্যাণ সমিতির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মনীষা তালুকদার ডয়চে ভেলেকে আরো বলেন,” ধর্ষণের শিকার না হলে ওই মেয়েটি এবার এসএসটি পরীক্ষা দিতো। কিন্তু সে এখন প্রতিবন্ধী হয়ে গেছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা তাকে মেডিকেল এবং লিগ্যাল সহায়তা দিচ্ছি। তার এখানো ফিজিওথেরাপি চলছে। ”
“এখানে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা বলতে গেলে প্রায় সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এবং গ্যাং রেপ বেশি হচ্ছে। স্কুলের পথে বা বাড়ির পাশে ঘটনাগুলো বেশি হচ্ছে,” বলেন তিনি।
তার কথা,” যারা ধর্ষক, তাদের সবাই যে ক্ষমতাবান তা নয়, কিন্তু ধর্ষণ হওয়ার পর সেটা নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়। নানা পক্ষ হয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার নারী, তার পরিবারের সদস্যরা চাপের মুখে পড়েন। বিচার পান না।”
সেই ‘রাজনীতি’র ধরন জানতে চাইলে তিনি বলেন,” এখানে রাজনৈতিক লাভ-লোকসানের হিসাব করা হয়। সাম্প্রদায়িক বিষয় আছে৷ আবার ইন্টার-কমিউনিট হলে একরকম, কমিউনিটির বাইরে হলে আরেকভাবে দেখা হয়। তাতে যেটা হয়, শেষ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার নারী ও তার পরিবার বিচার-বঞ্চিত হয়।”
তার কথা, ” ধর্ষণের মামলা করাও বেশ কঠিন। মামলা নিলেও এজাহার দুর্বল করে দেয়া হয়। থানার ইচ্ছামতো এজাহার লিখতে বাধ্য করা হয়। আর যারা ধর্ষণের শিকার হন, তারা প্রায় সবাই আদিবসী নারী।”
এই জেলায় প্রায়ই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে : পুলিশ সুপার
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আরেফিন জুয়েল মঙ্গলবার রাতের ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে বলেন,” ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মামলা দায়েরের আগেই আমরা একজনকে আটক করি। এরপর তার ব্যাপারে ভিক্টিম নিশ্চিত করলে তাকে আমরা রিমান্ডে নিয়ে এসেছি। কিশোরীর মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে , জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিতে কোনো দেরি করিনি।” তার কথা, ” ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা মামলায় তিনজন আসামির কথা বললেও তাদের নাম উল্লেখ করেননি। যাকে গ্রেপ্তার করেছি, তার মাধ্যমে বাকিদের নাম জানতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আমাদের দিক থেকে কোনো অবেহেলা নেই।”
“এই জেলায় তো প্রায়ই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আমরা ঘটনা ঘটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কে পাহাড়ি আর কে পাহাড়ি না, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা সবাইকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবেই দেখি। আর অপরাধী পাহাড়ি , বঙালি সেটা তো বিষয় নয়, বিষয় হলো আইন সবার জন্য সমান,” বলেন তিনি।
থানায় মামলা না নিতে চাওয়া, আসামি গ্রেপ্তার না করা, নানা ধরনের চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন তো স্বাধীন দেশ। স্বাধীনভাবে যার যা খুশি তো বলতেই পারে। কিন্তু ওইসব কথার মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। কেউ তদবিরও করতে আসে না। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করছি।”