প্রথম আলো
জানা গেছে, গত ২২ ডিসেম্বর বৈদেশিক ভাতা বৃদ্ধির একটি হার অনুমোদন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল অর্থ বিভাগ। মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, এমন ২৮টি দেশের মিশনের জন্য ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ ছিল না এতে। ওই সব দেশের মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে আপত্তি জানান এবং সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। অর্থ বিভাগ এ যুক্তির সঙ্গে একমত হয়ে অর্থ উপদেষ্টার কাছে নতুন করে উপস্থাপিত সারসংক্ষেপে জানায়, ২২ ডিসেম্বর অনুমোদিত হার বাস্তবায়িত হলে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এটি বাতিল হওয়া দরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে ৬ জানুয়ারি আরেকটি আধা সরকারি চিঠি দেয় অর্থ বিভাগকে এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে ডলারে মুদ্রা বিনিময় হার সমন্বয় করে ৬০টি দেশকে এ, বি ও সি—তিন শ্রেণিতে ভাগ করে দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী সুদান, লেবানন, ইরান, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া, ভিয়েতনাম, নেপাল, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, ভুটান, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, কুয়েত, সৌদি আরব, ফিলিপাইন, কাতার এবং সিঙ্গাপুর হচ্ছে এ শ্রেণিতে রাখা দেশ।
চীন, ইরাক, বাহরাইন, ওমান, পাকিস্তান, রোমানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য, আলজেরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়াম নেদারল্যান্ডস, থাইল্যান্ড, মরিশাস, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, মরক্কো এবং ব্রুনেই দারুসসালামকে রাখা হয়েছে বি শ্রেণিতে। বাকিরা সি শ্রেণিতে স্থান পেয়েছে।