Google Alert – কুকি চিন
ছবির উৎস, NCP
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সম্প্রতি শাহবাগে যে আন্দোলন হয়েছে, সেখানে যারা ‘গোলাম আজমের বাংলা’সহ বিভিন্ন বিতর্কিত স্লোগান দিয়েছেন, সেটার দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে সদ্যগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
এমন এক সময় এই বিবৃতি দেওয়া হলো, যখন ওই স্লোগান নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।
এনসিপি’র নেতারা যেহেতু আন্দোলনটির নেতৃত্বে ছিলেন, সেজন্য ঘটনার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বিবৃতি দিয়েছে দলটি।
“যেসব আপত্তিকর স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষটিকেই বহন করতে হবে,” বিবৃতিতে বলেছে এনসিপি।
এনসিপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশসহ কিছু সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকার শাহবাগে ওই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন।
তাদের একটি অংশ যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রয়াত জামায়াত নেতাদের নাম উল্লেখ করে স্লোগান তোলেন ‘গোলাম আজমের বাংলায়- আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই। সাঈদীর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’।
এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময়েও তাদের কেউ কেউ আপত্তি জানায়।
এসব ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানান প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এমন প্রেক্ষিতে এনসিপি দাবি করেছে যে, তাদের কোনো নেতাকর্মী ওই ধরনের স্লোগান দেননি।
স্লোগানের ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবিরের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তারা।
এছাড়া একাত্তর প্রশ্নে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান জাতির সামনে ব্যাখ্যা করার জন্যও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।
“এনসিপি মনে করে, বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায় তথা, ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ এর যথাযথ স্বীকৃতি এবং মর্যাদা বাংলাদেশে ‘রাজনীতি করার পূর্বশর্ত’”
“যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, আমরা চাই তারা নিজেদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান জাতির সামনে ব্যাখ্যা করে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্যকে সুদৃঢ় করবে এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে সহযোগী হবে,” বিবৃতি বলেছে এনসিপি।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী।
রাজাকার, আল বদর এবং আল শামস বাহিনী গঠন করে দলটির নেতাকর্মীরা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশে গণহত্যাও চালিয়েছিল।