Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল
ছবির উৎস, Getty Images
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে নির্বাহী
আদেশ জারি করেছেন।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়
পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়ালো ৫০-শতাংশে।
মি. ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে,
এই
আদেশ জারির একুশ দিন পর থেকে এটি কার্যকর হবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
এর আগেই ভারতের শুল্ক বাড়ানো হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন ‘ইউক্রেনে রাশিয়ান অস্ত্রে কত মানুষ মারা যাচ্ছে
তা ভারত আমলে নিচ্ছে না’।
তখন ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ
শুল্ক আরোপ করা হয়েছিলো।
ডোনাল্ড ট্রাম্প পরে বলেছিলেন, আগামী শুক্রবার বা আটই অগাস্টের মধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতিতে রাশিয়া রাজি না
হয়, তাহলে এই দেশের সাথে এখনো বাণিজ্য করছে এমন যে কোনো দেশের ওপর নতুন সেকেন্ডারি
শুল্ক আরোপ করা হবে।
তেল ও গ্যাস রাশিয়ার সবচেয়ে
বড় রপ্তানি খাত। চীন, ভারত ও তুরস্ক মস্কোর সবচেয়ে বড় ক্রেতা।
ওদিকে ভারতেও ওপর আরও শুল্ক
চাপানোর হুমকি দিয়ে ট্রাম্প যা বলেছিলেন তা ভারতও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলো।
রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে
আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতকে যে নিশানা করছে, অথচ তারা নিজেরাই তো রাশিয়ার সঙ্গে
বাণিজ্য চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে দিল্লি।
দিল্লি বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ
শুরু হওয়ার পর থেকে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতকে নিশানা করছে।
বর্তমানে ভারত রাশিয়ার খনিজ
তেলের সব থেকে বড় আমদানিকারক দেশ। রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনের ওপরে আক্রমণ করার পর
থেকে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য কমিয়ে দিয়েছে, তবে সেই সময় থেকেই
রাশিয়ার কাছে ভারত একটা বড় বাজার হয়ে উঠেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বছর কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে সাড়ে তিনশো কোটি
ডলারের বাণিজ্য চালিয়েছে।
ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে,
যে কোনো বৃহৎ অর্থনীতির মতোই নিজেদের জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষা
করতে ভারত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।