বিমান হামলায় হামাসের মুখপাত্র নিহত, দাবি ইসরায়েলের  The Daily Star Bangla

Google Alert – সশস্ত্র

হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

“>
হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদা। এমনটাই দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। 

সামাজিকমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করেন এবং দাবি করেন, ‘গাজায় হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদাকে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘নিখুঁত হত্যা অভিযান’ পরিচালনার জন্য অভিনন্দন জানান।

এর আগে, দিনের শুরুর দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, শনিবার গাজায় পরিচালিত সামরিক অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ওবেইদাকে হত্যা করা। তবে সে সময় তিনি ওবেইদার মৃত্যু নিশ্চিত করেননি।

আবু ওবেইদা ছিলেন হামাসের সামরিক বিভাগ এজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের (আল-কাসাম ব্রিগেড নামে পরিচিত) মুখপাত্র।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদার ওপর হামলা চালিয়েছি। তিনি ওই অপরাধী ও খুনি সংস্থার মুখপাত্র।’

সে সময় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ব্যাঙ্গ করে বলেন, ‘আমি আশা করছি তিনি (ওবেইদা) আর আমাদের মাঝে নেই। তবে এ বিষয়টা স্পষ্ট করার জন্যেও চোখের সামনে হামাসের কাউকে দেখতে পাচ্ছি না।’

দীর্ঘ দিন ধরে ওবেইদা নিয়মিত ফিলিস্তিনি সংগঠনটির ভিডিও বার্তা পড়ে শুনিয়েছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তিনি বেশ পরিচিত মুখ।

ভিডিও বিবৃতি দিচ্ছেন আবু ওবেইদা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

“>
ভিডিও বিবৃতি দিচ্ছেন আবু ওবেইদা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভিডিও বিবৃতি দিচ্ছেন আবু ওবেইদা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

নিজের চেহারা ঢেকে রাখতে লাল রঙের কিফায়া (কেফিয়াহ নামেও পরিচিত) স্কার্ফ ও সামরিক ক্যামোফ্লাজ পোশাক পরে থাকতেন ওবেইদা। 

ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলায় গত ২৩ মাসে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাস হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে। সেদিনই হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করেন নেতানিয়াহু। সেদিন থেকেই চলছে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক, নির্বিচার হামলা।

হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া, সশস্ত্র বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ ও হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার—একে একে ইসরায়েলের অভিনব যুদ্ধকৌশলে পরাস্ত হয়ে প্রাণ হারান। সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জানা-অজানা সামরিক ও রাজনৈতিক নেতার প্রয়াণে সংগঠনটি এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। 

রোববার দিনের শুরুতে হামাস গাজার সামরিক প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করে। ৩ মাস আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, এই ব্যক্তি হামাস নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ার। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর ছবিটি প্রকাশ করে। ছবি: রয়টার্স

“>
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, এই ব্যক্তি হামাস নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ার। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর ছবিটি প্রকাশ করে। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, এই ব্যক্তি হামাস নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ার। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর ছবিটি প্রকাশ করে। ছবি: রয়টার্স

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজার রাফায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারও ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারান। তার মৃত্যুর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৪৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই তথ্য জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *