Bangla Tribune
আগামী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি মরক্কোতে মন্ত্রী পর্যায়ের চতুর্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি কোয়ালিশন অব বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় মরক্কোতে মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলনে সরকারের শিল্প উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেবেন। এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য মরক্কোর মারাকেশে চতুর্থ মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে অঙ্গীকার করার দাবি জানানো হয়। সড়ক নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রণয়নে সরকার কমিটি গঠন করলেও পৃথক একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইনের দীর্ঘদিনের দাবি দেশের তরুণ কিশোরসহ আপামর জনসাধারণের। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর দেশব্যাপী একটি শক্তিশালী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই দাবি আরও জোরালো হয়। এরপর সরকার ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ পাস করে। আইন পাশ করা হলেও তাতে সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ের ঘাটতি ছিল যার সিংহভাগ ছিল পরিবহন বা যানবাহন কেন্দ্রিক।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে গতি-সীমা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করা। একইসঙ্গে সরকারের উচিত মোটরসাইকেল চালকদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট নির্দেশিকা তৈরি করা।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। অতএব, কনফারেন্সের খসড়া ঘোষণাপত্রের প্রতিপাদ্য ‘জীবনের প্রতি অঙ্গীকার’ বিষয়ে সরকারকে যেমন গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে তেমনি খসড়া ঘোষণাপত্রে দেশের অঙ্গীকারসমূহকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ব্র্যাক) খালিদ মাহমুদ, সিআইপিআরবি’র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রকল্প কর্মকর্তা মো. শারাফাত-ই-আলম, রোড সেফটি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজী রোরহান উদ্দিন প্রমুখ।