jagonews24.com | rss Feed
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের কোপ্পাল জেলায় এক প্রাক্তন কেরানির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের অভিযোগ উঠেছে। মাত্র ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেও ওই ব্যক্তি ২৪টি বাড়ি, ৪০ একর জমি ও ৩০ কোটি রুপিরও বেশি সম্পদের মালিক- এমনটাই উঠে এসেছে কর্ণাটক লোকায়ুক্তের সাম্প্রতিক অভিযানে। লোকায়ুক্ত হলো ভারতের রাজ্য সরকারগুলির জন্য নিযুক্ত এক ধরনের বিচার বিভাগীয় সংস্থা, যা মূলত দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে কাজ করে।
অভিযুক্তের নাম কালাকাপ্পা নাইদাগুন্ডি। তিনি কর্ণাটক রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডে কেরানি হিসেবে কাজ করতেন। লোকায়ুক্ত কর্মকর্তারা সম্প্রতি তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সম্পদের সন্ধান পান। জব্দ করা হয়েছে ২৪টি আবাসিক ভবনের কাগজপত্র, ৪টি প্লট, ৪০ একর কৃষিজমি, প্রায় ৩০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার (৩৫০ গ্রাম), দেড় কেজিরও বেশি রুপা, দুটি গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল। তবে এসব সম্পত্তি ছিল তার এবং তার স্ত্রী ও শ্যালকের নামে।
এই অভিযানের সময় আরও জানা যায়, নাইদাগুন্ডি ও কেআরআইডিএলের এক সাবেক প্রকৌশলী জেডএম চিনচোলকার মিলে অন্তত ৯৬টি অসম্পূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পের নামে ভুয়া বিল তৈরি করে প্রায় ৭২ কোটি রুপি আত্মসাৎ করেছেন। এসব তথ্য উঠে আসে নথি পর্যালোচনার সময়।
এই অভিযানটি কর্ণাটক রাজ্যজুড়ে সরকারি কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে লোকায়ুক্তের ধারাবাহিক অভিযানের অংশ। এরই মধ্যে আরও কয়েকজন কর্মকর্তা এই তদন্তের আওতায় এসেছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর উদ্যানবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, জাতীয় সড়ক বিভাগের এক নির্বাহী প্রকৌশলী, চিত্রদুর্গ জেলার হিরিয়ুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বিবিএমপির কর নির্ধারকসহ আরও অনেকে।
এই পুরো অভিযান তদারকি করেন সিপিআই পরশুরাম কাভাতাগি, ডিএসপি পুষ্পলতা ও অফিসার পিএস পাটিল। তদন্ত এখনো চলছে। নাইদাগুন্ডির বিপুল সম্পদের উৎস ও সরকারি তহবিল থেকে কীভাবে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এসএএইচ