ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি জমির সীমানা নির্ধারণে গিয়ে হামলার শিকার ইউএনও, আহত ১৫

Independent Television

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পেরীফেরীভূক্ত জায়গার সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী ইউএনও অফিস ও ভূমি অফিসের ১৫ কর্মচারী। তাদের মধ্যে ইউএনওর কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে শহরের আনন্দবাজারে সরকারি ১ নম্বর খাসখতিয়ানের হাটবাজার শ্রেণির পেরীফেরীভূক্ত জায়গার সীমানা নির্ধারণে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বাজারের অন্য অংশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। 

জানা গেছে, বাঁশপট্টি নামে পরিচিত বাজারের ওই সরকারী জায়গাতে একটি মহল গত কয়েক দিন ধরে ট্রাক স্ট্যান্ড করার দাবি জানিয়ে আসছে। সরকারি ওই জায়গা বেদখল হওয়ার মুখে সেটি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে- এই খবরে বাজার ও বিভিন্ন মার্কেট কমিটির ব্যানারে মহলটি আন্দোলন শুরু করে। তারা সেখানে জোর করে ট্রাকস্ট্যান্ড করার ঘোষণা দেয় এবং জায়গায় স্থাপিত সরকারি সাইনবোর্ড উপরে ফেলে।

অভিযোগ উঠেছে, এই অবস্থায় আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস ও ভূমি অফিসের কর্মচারীরা সেখানে গেলে তাদের ওপর ট্রাক স্ট্যান্ড করার দাবিতে সোচ্চার ৩০ থেকে ৪০ জন হামলা চালায়।

হামলায় আহতরা হলেন- ইউএনওর সিএ মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মফিজুল কবীর, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান, সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম, দপ্তরি ইয়াসিন মিয়া, অফিস সহায়ক হিমেল উদ্দিন, সদর ভূমি অফিসের ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী আল আমিন ভূইয়া, অফিস সহকারী ফরহাদ ভূঞা, ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী হরিলাল দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক লোকমান মিয়া, সার্টিফিকেট সহকারী শরীফ মিয়া, উপজেলা ভূমি অফিসেরর অফিস সহায়ক ইমরুল হাসনাত চৌধুরী, জারীকারক মোতাহের হোসেন ও তাইজুল ইসলাম, দপ্তরি ঝাড়ু মিয়া। 

এ ঘটনার পর ইউএনওর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের একটি দল বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা কয়েকটি দোকানপাট উচ্ছেদ এবং বাজারের তোহাবাজারে টিনসেড অপসারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূইয়া জানান, কিছু ব্যবসায়ী সরকারি ওই জায়গাটি দখল করার চেষ্টা করছিল। এরপরই জায়গাটি সরকারের দখলে আনার এবং বন্দোবস্ত দেওয়ার পদক্ষেপ নিলে সরকারি কর্মচারীরা এর পেরীফেরী সীমানা চিহ্নিত করতে যান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা করে।

ইউএনও আরও জানান, সরকারি খালি এ জায়গাটি দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে বন্দোবস্ত দিতে গেলে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হয় এবং সরকারি কর্মচারীদের আক্রমণ করে আহত করা ছাড়াও অনেককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার একটি মামলা এবং বুধবারের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

ইউএনও বলেন, বাজারের বিভিন্নস্থানে অবৈধ স্থাপনা করে বাজারকে নরকে পরিণত করেছে। বাজার সুন্দর করার জন্য এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *