ভাইবোনছড়া ধর্ষণের রাজনৈতিক রূপ ও পাহাড়ি দালালরা

CHT NEWS


সোহেল চাকমা ও নরেশ ত্রিপুরা



খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা জাতিসত্তার ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের
ঘটনায় সমস্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের
দাবিতে রাজপথ কাঁপিয়ে তুলছে। অন্যদিকে ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, বাংলাদেশ ত্রিপুরা ঐক্য
পরিষদ, বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদ, বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব ঐক্য পরিষদ, ত্রিপুরা
স্টুডেন্টস্ ফোরাম (টিএসএফ), বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদ ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা শ্রমিক
সংসদ নামে ৭টি সামাজিক সংগঠন এক সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে নির্লজ্জভাবে গণধর্ষণকারীদের
পক্ষ নিয়েছে। তারা আকাশে তীর ছোড়ার মতো ‘একটি গোষ্ঠীর’ বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনাটিকে
‘পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক রূপ’ দেয়ার অভিযোগ করেছে। অবশ্য এতে তাদের
চরম সুবিধাবাদী লেজুড়বাদী চরিত্রই সবার সামনে জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠেছে।

কার নির্দেশে এই সংগঠনগুলো এই লজ্জাজনক ভূমিকা নিয়েছে তা স্পস্ট হয় রণ ত্রিপুরা
নামে খাগড়াছড়ি উপজেলা যুব দলের এক নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাসে। তিনি স্পষ্টভাবে স্বীকার
করেন যে, বিএনপির স্থানীয় নেতা ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নির্দেশে তিনি গত ১৭ জুলাই “ত্রিপুরা
মেয়ের বিষ খাওয়া ও বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে আমাদের
কিছু কথা” শিরোনামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ধারণা করা যায় ৭ সংগঠনের
নেতারাও ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নুন খেয়ে অথবা তার নুন খাওয়ার লোভে হীন, নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত
ভূমিকা নিয়েছিলেন।

অবশ্য পরে ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষিতে উক্ত ৭টি সংগঠনের দুইটি ‘টিএসএফ’
ও ‘বাংলাদেশ ত্রিপুরা শ্রমিক সংসদ’ অনলাইনে প্রেস বিজ্ঞপ্তির দিয়ে গত ১৮ই জুলাই ত্রিপুরা
কল্যাণ সংসদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হওয়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নিজেদের
অবস্থান পরিস্কার করেছে। তারা সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক বক্তব্যের
প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। দু’টি সংগঠনের এই বোধদয়কে আমরা স্বাগত জানাই। পার্বত্য
চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা যে মাত্রায় পৌঁছেছে, এর বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ
হয়ে রুখে দাঁড়ানো এখন প্রত্যেক দেশপ্রেমিক ব্যক্তি ও সংগঠনের নৈতিক দায়িত্ব। যে দল
ও সংগঠন এই ঐতিহাসিক ও জাতীয় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবে সে দল ও সংগঠন নিশ্চিতভাবে ইতিহাসের
আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

 ত্রিপুরা জাতিভিত্তিক সামাজিক সংগঠনগুলোর সংবাদ সমেম্মেলনের ছবি।


গণধর্ষণ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া ও ধর্ষকদের রক্ষার চেষ্টা কেবল বিএনপির পক্ষ
থেকে করা হয়নি। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীও তার দায়িত্ব পালনে মোটেই পিছ পা হয়নি।
গত ১৭ই জুলাই ভাইবোনছড়া আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে
শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করলে তারা যথারীতি তাদের ওপর নগ্নভাবে হামলা চালায়।
তারা ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরাসহ বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায় এবং তার ক্যামেরা
থেকে বিক্ষোভের ছবি ডিলিট করতে বাধ্য করে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, ধর্ষণের প্রতিবাদ করা
কি অন্যায়? ধর্ষণবিরোধী সমাবেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এটাই প্রমাণ করে যে, সেনাবাহিনী
আসলে ধর্ষকদের পাহারাদারে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদেরকে আজ দলবদ্ধ ধর্ষণের মতো জঘন্য
অপরাধের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করতে দিতে রাজী নয়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন খাওয়া
সেনাবাহিনীর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীদের
ওপর যৌন সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না; বরং তাদের এই ভূমিকা নব উদ্যমে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ কর্মসূচি
চালিয়ে যেতে পুনর্বাসিত সেটলার বাঙালিদের উৎসাহ যোগাচ্ছে।

ভাইবোনছড়া ধর্ষণ-বিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে সেনাবাহিনী হামলা চালানোর চিত্র। ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি। 

স্মরণ করা যেতে পারে, গত বছর ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ইন্টেরিম সরকার
গঠন হলে দেশের আপামর জনগণের আশা-ভরসার অন্ত ছিল না। কিন্তু গত এক বছরে দেশব্যাপী ধর্ষণ,
মব সৃষ্টি করে হত্যা, নারীর শ্লীলতাহানি, চুরি-ডাকাতি সবকিছুতেই যেন ইউনুস সরকারের
রেকর্ড পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকেও ছাড়িয়ে গেছে। আর মাত্র কিছুদিন পরেই অভ্যুত্থান
ও ইন্টেরিম সরকার গঠনের এক বছর পূর্ণ হবে। অথচ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও আশা-আকাক্সক্ষা
এখনও অধরাই রয়ে গেছে। দেশ আজ চরম নিয়ন্ত্রণহীন বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত। দেশ কোন কিনারার
দিকে ধাবিত হচ্ছে তা কেউ জানে না।

পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক এ ধরনের বড় ঘটনার পরও ড. ইউনূসের সরকারের
বিন্দুমাত্র নজর সেদিকে পড়েনি। পার্বত্য অঞ্চল শাসনের এক্তিয়ার যেন সেনাবাহিনী ও সেটলারদের
কাছে দেয়া হয়েছে। একেই বলে অভ্যন্তরীণ উপনিবেশ। এই উপনিবেশিক শাসনে পাহাড়ি জনগণের আজ
ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। ভাইবোনছড়ায় ২৭ জুন কিশোরীটির দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা শাসকগোষ্ঠীর
নিপীড়নের স্টিমরোলারে চাপা পড়া মুমুর্ষু জাতিগুলোর গোঙানি আরও একবার শোনা গেল।

বস্তুত, পাহাড়িদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন চালানোর ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ, বিএনপি তথা শাসকগোষ্ঠীভুক্ত সকল দলই এক ও অভিন্ন। সুতরাং এটা নির্দ্বিধায় বলা প্রয়োজন, বিএনপি কিংবা সেনা-শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ নিয়ে যারা বা যেসব পাহাড়ি ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চক্রান্ত চালাচ্ছে তারা যে জাতিসত্তারই লোক হোক, তারা জুম্ম জনগণের বন্ধু নয়। শাসকের দালালি করা এসব প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাহাড়ি জনতাকে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।

বিএনপি এখনও ক্ষমতায় যায়নি, নির্বাচন হলে ক্ষমতায় যাবে মনে করছে। কিন্তু
এর মধ্যেই দেশব্যাপী তাদের দাপট সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামেও একই
অবস্থা। ভাইবোনছড়ায় যারা ওই কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করেছে তারা সবাই বিএনপির স্থানীয়
নেতাকর্মী। তারা ক্ষমতায় নেই, কিন্তু তারপরও তাদের প্রচণ্ড দাপট ও ক্ষমতা। ১৮ই জুলাই
বিবিসি নিউজের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও স্পষ্টভাবে ধর্ষকদের রাজনৈতিক পরিচয় উঠে এসেছে।

বিগত শতকের আশির দশকে জিয়াউর রহমান সমতল থেকে চার লক্ষাধিক বাঙালিকে পার্বত্য
চট্টগ্রামে নিয়ে এসে এ অঞ্চলের সমস্যাকে জটিলতর করে তুলেছিলেন। সেটলারদের আগমনে বেড়েছে
পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা, ভূমি বেদখল, হত্যা, ধর্ষণ ও সেটলার বাঙালিদের দৌরাত্ম্য।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৪ জন গণধর্ষণকারী বিএনপি’র
রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত থাকার পরও বিএনপি ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। খাগড়াছড়ি সদর
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রণ ত্রিপুরা নামে এক বিএনপি নেতা অনলাইনে প্রদত্ত
ফেসবুক পোস্টে স্বীকার করেছেন, দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবে ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে
সামনে রেখে দলীয় ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেজন্য জেলার বিএনপি সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার
সরাসরি নির্দেশে ধর্ষকদের রক্ষার চেষ্টা ও ধর্ষণের ঘটনাটিকে আড়ালের চেষ্টা করা হয়েছে।

শুধুমাত্র পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং জনসাধারণকে আশ্বস্ত করার জন্য ধর্ষণের
ঘটনায় জড়িত বিএনপি’র যেসব নেতাকর্মীর নাম উঠে এসেছে তাদেরকে প্রতীকীভাবে গ্রেফতার দেখানো
হয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট অনুমেয় যে, পুলিশ প্রশাসন বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে
ধর্ষকদের রক্ষার জন্যই মূলত গ্রেফতার দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নিয়েছে, কোন বিচার বা
শাস্তি কার্যকর করার উদ্দেশ্যে নয়। অন্যদিকে বিএনপির পাহাড়ি নেতাকর্মীরা বিএনপির ভোটের
রাজনীতির হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়। ভোট ও ভোটারের আদিখ্যেতা ছাড়া বিএনপি’র অপরাজনীতির
কাছে পাহাড়িদের অপর কোন মূল্য নেই। সেজন্য বিএনপি’র রুহল কবির রিজভীরা ভোটের অংক বাড়ানোর
মতলবে প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দেশের আলোচিত জাতীয় নারী দলের ফুটবলার ঋতুপর্ণা
চাকমার বাড়িতে গিয়ে মেকি দরদী সাজে, কিন্তু পাহাড়ি কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় পাথরের মতো
নিরব থাকে। শুধু তাই নয়, তারা বিভিন্ন ভূইফোঁড় সংগঠন দাঁড় করিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঢামাচাপা
দিতে ও ধর্ষকদের রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায়।

অবশ্য আমরা বিএনপির এ ধরনের ভূমিকায় বিষ্মিত নই। কারণ আমরা জানি, কারা ১৯৮০
সালে কলমপতি গণহত্যা, ১৯৯২ সালে লোগাং গণহত্যা ও ১৯৯৩ সালে নানিয়াচর গণহত্যা ঘটিয়েছে।
কারা ২০০৬ সালে মহালছড়িতে বীভৎস সাম্প্রদায়িকর রূপকার। বিএনপির এই কদাকার চেহারা পাহাড়িরা
ভুলে যায়নি।

ভোটে জেতার জন্য কিংবা বিভাজনের রাজনীতির জন্য, কিংবা স্রেফ নানা হীন স্বার্থ
সিদ্ধির জন্য বিএনপির কাছে পাহাড়িদের চাহিদা রয়েছে। অপরদিকে পাহাড়িদের মধ্যে যারা ধান্দাবাজ,
সুযোগসন্ধানী, সুবিধাবাদী ও নীতিহীন, তারা খুঁদকুড়ো খাওয়ার লোভে নির্লজ্জের মতো বিএনপির
মতো চরম প্রতিক্রিয়াশীল ও পাহাড়ি স্বার্থ বিরোধী দলের কাছে ভিড় জমায়। এরা ‘টু পায়েস’
পাওয়ার বিনিময়ে নিজেদের সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত হতে কসুর
করে না। (যেমন ভাইবোনছড়ায় ধর্ষকদের রক্ষার জন্য বিএনপিকে সহায়তা করা)। অর্থাৎ এখানে
দেনা-পাওনার খেলা চলে: বিএনপি ধান্দাবাজ পাহাড়িদের ‘কিছু’ দেয়, আর তার বিনিময়ে এই ধান্দাবাজরা
পাহাড়িদের জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দেয়।

বস্তুত, পাহাড়িদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন চালানোর ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ, বিএনপি
তথা শাসকগোষ্ঠীভুক্ত সকল দলই এক ও অভিন্ন। সুতরাং এটা নির্দ্বিধায় বলা প্রয়োজন, বিএনপি
কিংবা সেনা-শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ নিয়ে যারা বা যেসব পাহাড়ি ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার
চক্রান্ত চালাচ্ছে তারা যে জাতিসত্তারই লোক হোক, তারা জুম্ম জনগণের বন্ধু নয়। শাসকের
দালালি করা এসব প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাহাড়ি জনতাকে দৃঢ় অবস্থান
গ্রহণ করতে হবে।

অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইনে দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে প্রশাসনকে প্রমাণ করতে হবে যে,
সরকার পক্ষপাতদুষ্ট নয়। তবে তার চাইতেও বড় কথা হলো ড. ইউনুস সরকারকে সমস্যার গভীরে
যেতে হবে এবং ধর্ষণ > বিচারহীনতা > আবার ধর্ষণ — এই ঘূর্ণনচক্রের কারণ অনুসন্ধান
করতে হবে এবং সেই কারণকে দূরীভূত করতে হবে। তা না হলে এই চক্র চলতেই থাকবে।

লেখক:

* সোহেল চাকমা
সহ-সাধারণ সম্পাদক
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ
কেন্দ্রীয় কমিটি।

 

* নরেশ ত্রিপুরা

সভাপতি
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ
ঢাকা মহানগর শাখা

** লেখাটি লেখকদ্বয়ের ফেসবুক থেকে সংগৃহিত।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *