Google Alert – সেনাবাহিনী
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হর্ষিল এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে পাহাড় থেকে নেমে আসা হড়কা বানের ধাক্কায় ৯ সেনা নিখোঁজ হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে হর্ষিলের সেনা ক্যাম্পটি থেকে চার কিলোমিটার দূরে উত্তরকাশীর ধারালী গ্রাম এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির ঢল নেমে আসে। আচমকা পর্বত থেকে নেমে আসা হড়কা বানে ভেসে যায় বহু বাড়ি ও হোটেল।
উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
এই হড়কা বানে ভেসে যায় হার্ষিলের ওই সেনা ক্যাম্পটি। এতে ৯ সেনা নিখোঁজ হন।
উদ্ধারকাজের বিষয়ে এক দপ্তারিক হালনাগাদে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও উদ্ধারকারী দলগুলো ‘দৃঢ় সংকল্প’ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ধারালী গ্রাম এলাকাটি গাঙ্গোত্রী হিমবাহের পথে প্রধান যাত্রাবিরতির স্থান। এখানে অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বাসাবাড়ি রয়েছে যেগুলোতে পর্যটকরাদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনাটি ঘটেছে ক্ষীর গঙ্গা নদীর উজানে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ পানির ধ্বংসাত্মক ধারা নেমে এসে বিপর্যয় ঘটায়।
ঘটনা ঘটার ১০ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করতে ১৫০ জন সেনাকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। উদ্ধারকারী দলগুলো আটকা পড়া গ্রামবাসীদের তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া শুরু করে। কিন্তু রাত পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটে।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বিরতিহীনভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিকদের সম্ভাব্য সব সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ দুর্যোগে ৪০ থেকে ৫০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজন ও পীড়াদায়ক’ বলে অভিহিত করেছেন। ‘যুদ্ধকালীন তৎপরতায়’ উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেনাদের পাশাপাশি জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা, রাজ্য দুর্যোগ মোকাবেল সংস্থা, জেলা প্রশাসন ও অন্য সংশ্লিষ্ট টিমগুলো উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছে বলে সামাজিক মাধ্যক এক্স এ এক পোস্টে জানিয়েছেন ধামী।