ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ ইউনূস

Google Alert – ইউনূস

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

* বিচারের মুখোমুখি হয়েও হাসিনা উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন * ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম গঠনের প্রস্তাব * মার্কিন কোম্পানিকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে। আর সেই আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার আশ্রয় দিয়েছে। ভারতে বসেই শেখ হাসিনা সমস্যা সৃষ্টি করছেন, যা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেছে। এ কারণে ভারতের তীব্র সমালোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গত বছর গণবিপ্লবকে ভারত ভালোভাবে নেয়নি, এ কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক জোট সার্ককে পুনর্জ্জীবিত করার ব্যাপারেও জোর দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে বৈঠকে ভারত সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সার্জিও গোরকে একমাস আগে ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন এ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ভারত নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ছাত্ররা গত বছর যা করেছে সেটি ভারত পছন্দ করেনি। এ কারণে ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা রয়েছে। ভারতীয় মিডিয়াগুলোর ভুয়া খবর পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। ভারত থেকে অনেক ভুয়া খবর আসছে। তারা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে গত বছরের গণবিপ্লব ছিল একটি ইসলামি আন্দোলন।’ এছাড়া সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেছেন, ‘ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যিনি সমস্যার সৃষ্টি করছে। এগুলো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেছে।’ এছাড়া ভারতের কারণেও সার্ক জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সার্ক কাজ করছে না কারণ একটি দেশের রাজনীতির সঙ্গে এটি ফিট হচ্ছে না।’ এছাড়া এশিয়ার আরেক জোট আসিয়ানে যোগ দেওয়ার আগ্রহও দেখিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৪ সালে সার্কের সম্মেলন হয়। এর পরের সম্মেলনটি ২০১৬ সালে হওয়ার কথা ছিল। তবে উরিতে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করে ভারত। এরপর এ জোটটি বলতে গেলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ভারত যদিও এখন সার্কের সদস্য। কিন্তু তারা পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে তৈরি বিমসটেককে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এমনকি ভারত তাদের বিভিন্ন বিষয় বিমসটেকের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জানিয়ে থাকে। সর্বশেষ বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক : এদিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে সংস্থার সদর দপ্তরে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই নেতা বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম, পাকিস্তানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিধ্বংসী বন্যা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পাকিস্তানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যায় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির জন্য গভীর শোক প্রকাশ এবং আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শরীফ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে এ ধরনের বিপর্যয়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। সেখানে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়বস্তুগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি ১১টি কমিশনের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার দেশকে অর্থবহ রাজনৈতিক রূপান্তরের দিকে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং দলগুলো ‘জুলাই সনদ’-এ স্বাক্ষর করবে, যেখানে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়বস্তুগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সংস্কারগুলো বাংলাদেশে যেন আর কোনো স্বৈরশাসকের উত্থান না হয়, সে লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বলে অধ্যাপক ইউনূস জানান। উভয় নেতা আলোচনা করেন যে সম্প্রতি কয়েক বছরে সার্ক কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিকল্প উপায় অনুসন্ধান করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শরীফ ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ইউনূসের সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বৈঠক : বুধবার ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার স্টাব নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের মান অনুযায়ী বিচার চলছে। বিচারের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তিনি (শেখ হাসিনা) উসকানিমূলক এবং অস্থিতিশীল মন্তব্য অব্যাহত রেখেছেন।’ ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে।’

সাক্ষাৎকালে দুই নেতা বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, জাতিসংঘ সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেনযুদ্ধ, আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগদানের প্রচেষ্টা, শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার এবং নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ-প্রাপ্তির প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রফেসর ইউনূস গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ মাসে আমাদের সরকারের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন অপ্রতিরোধ্য।’ তিনি ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘দেশের ১২ কোটি ৬০ লাখ ভোটারকে শান্তিপূর্ণভাবে এবং উৎসবের পরিবেশে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের জনগণ গত ১৫ বছর ধরে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন থেকে বঞ্চিত। এখন তারা অধীর আগ্রহে ফেব্রুয়ারির অপেক্ষায় রয়েছে।’

ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট স্টাবকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার চলছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা গভীর রাজনৈতিক সংস্কারের একটি কাঠামো রাষ্ট্রপতি স্টাব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রনীতির দিকনির্দেশনা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন। জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করছে এবং সক্রিয়ভাবে আসিয়ানের সদস্যপদ পাওয়ার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সার্ক ও আসিয়ানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন হিসেবে দেখছি। আসিয়ানের সঙ্গে সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারশিপের জন্য আমাদের আবেদন চূড়ান্ত পূর্ণ সদস্যপদের দিকে একটি পদক্ষেপ।’ ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিশ্বব্যাপী কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। প্রেসিডেন্ট স্টাব বলেন, ‘বিশ্ব ব্যবস্থা পাল্টে যাচ্ছে। আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘকে শক্তিশালী করতে হবে।’ তার কথার সঙ্গে একমত হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, ‘বড় ধরনের বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ অনেকাংশে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।’

ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম গঠনের প্রস্তাব : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে চার বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার তিনি ইতালি, ফিনল্যান্ড, পাকিস্তান ও কসোভোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক এই দেশগুলোর সঙ্গে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দিনের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে একটি হোটেলে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মাঝে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভজোস্যা ওসমানির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে অনুরোধ করলে তিনি ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা বিষয়ক সম্মেলনে ইতালি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠাবে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। তবে এই বৈঠকে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল নিরাপদ অভিবাসন। প্রেস সচিব জানান, কসোভা একটি ছোট দেশ হলেও এর অর্থনীতি ইউরোপে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৯০-এর দশকে এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিল, তবে গত দুই বছরে এটি ইউরোপের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। ফিনল্যান্ড ও ইতালি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

মার্কিন কোম্পানিকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার : ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। ‘অ্যাডভান্সিং রিফর্ম, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)। প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে মেটলাইফ, শেভরন এবং এক্সেলেরেটসহ শীর্ষ মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসা বাংলাদেশের ছয়জন রাজনৈতিক নেতা সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং তাদেরকে মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। সূত্র-বাসস

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *