ভারতের কাশ্মীরে ৬০ ও পাকিস্তানে ১৯৪ জনের মৃত্যু

Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৬০ জন মারা গেছে এবং অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গতকাল রাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৯৪ জন মারা গেছে। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।

ভারি বৃষ্টির কারণে জম্মু-কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার চাসোতি শহরে বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। যাত্রাপথে অনেক তীর্থযাত্রী এখানে বিরতি নিয়ে থাকে। কর্মকর্তারা বলেন, ‘বন্যায় তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি কমিউনিটি কিচেন ও নিরাপত্তা পোস্ট ভেসে যায়। এটি ছিল মাচাইল মাতার মন্দিরগামী পথে বিরতির জায়গা।’

এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক তীর্থযাত্রী দুপুরের খাবারের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। তাদের প্রায় সবাই পানির স্রোতে ভেসে গেছেন।’

হিমালয়ের উঁচু ভূমিতে অবস্থিত মাচাইল মাতার মন্দির তীর্থযাত্রীদের একটি জনপ্রিয় স্থান। এ মন্দিরে যেতে তীর্থযাত্রীদের চাসোতি থেকে হাঁটতে হয়। সেখান থেকে যানবাহন যাওয়ার আর কোনো সড়ক নেই।

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘খবরটি দুঃখজনক ও সত্য। তবে যেখানে ক্লাউডবার্স্ট (প্রবল বৃষ্টি) হয়েছে, সেখান থেকে সঠিক তথ্য আসতে সময় লাগছে।’

কিশতওয়ার জেলার ডিভিশনাল কমিশনার রমেশ কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিপর্যয়টি ঘটে। স্থানীয় পুলিশ ও দুর্যোগ প্রতিরোধকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন। সেনা ও বিমান বাহিনীকে সক্রিয় করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।’

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের মতে, ক্লাউডবার্স্ট হলো হঠাৎ অতি প্রবল বৃষ্টি। ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের (৪ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টি, যা পাহাড়ি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এমনটা দেখা যায়।

শ্রীনগরের স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের কয়েকটি অঞ্চলে, বিশেষ করে কিশতওয়ারে, প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়। তারা বাসিন্দাদের সতর্ক করে জানায়, নড়বড়ে স্থাপনা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও পুরনো গাছ থেকে যেন দূরে থাকে। কারণ কাদামাটির ঢল ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।

পাকিস্তানের উত্তরের পার্বত্য খাইবার পাখতুনখা অঞ্চলে মারা গেছে অন্তত ১৮০ জন। সেখানে অন্তত ৩০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নয়জনের মারা যাওয়ার খবর দিয়েছে বিবিসি। এছাড়া উত্তরের গিলগিত-বালতিস্তান অঞ্চলে মারা গেছে পাঁচজন।

২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর। এ সময় দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অতি বৃষ্টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কয়েকটি অঞ্চলকে ‘দুর্যোগপ্রবণ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *