Google Alert – সেনাপ্রধান
ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারতীয় বিমান বাহিনী কিছু যুদ্ধবিমান হারিয়েছে। তবে তিনি পাকিস্তানের দাবি—ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে তিনটি রাফাল ছিল—সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা ডায়ালগে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল চৌহান বলেন, “সংখ্যা নয়, বরং কেন এই বিমানগুলি ধ্বংস হয়েছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও জানান, “আমরা আমাদের কৌশলগত ভুল বুঝতে পেরেছি, তা সংশোধন করেছি এবং পরবর্তী অভিযানে সফলভাবে তা প্রয়োগ করেছি।”
এই স্বীকারোক্তি ভারতের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত করল। পূর্বে পাকিস্তান দাবি করেছিল যে, তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি ফরাসি নির্মিত রাফাল।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। প্রত্যাঘাতের সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। টানা চার দিন দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চলার পর গত ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংঘর্ষবিরতির কথা প্রথম সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
ট্রাম্প সে দিন বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকার মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনার পর পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ে গিয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। বাস্তবজ্ঞান এবং অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সদ্ব্যবহার করার জন্য দুই দেশকে অভিনন্দন।’’ পরবর্তীতে তিনি দাবি করেন, ভারত ও পাকিস্তান পরমাণু সংঘাতের দিকে এগোচ্ছিল। আমেরিকার মধ্যস্থতাতেই সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল অনিলকে। ট্রাম্পের দাবি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেননি তিনি। তবে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে তিনি মানতে চাননি। অনিল বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়, সাধারণ অভিযান এবং পরমাণু সংঘর্ষের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে।’’ পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রাস্তা সব সময় খোলা ছিল বলেও জানিয়েছেন সেনা সর্বাধিনায়ক।