ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ‘একতরফা বিপর্যয়’: ট্রাম্প

Google Alert – সামরিক

শুল্ক নিয়ে বিবাদের মধ্যে আবারও ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

চীনের তিয়ানজিনে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের কয়েকঘণ্টা পরই তির্যক বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক ‘একতরফা’ দাবি করে একে ‘বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে ভারতের ওপর আরোপ করা শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহার না করারই বার্তা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় পণ্যের উপর জরিমানা-সহ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পক্ষে আবার সাফাই দিয়েছেন ট্রাম্প।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “কম মানুষই বোঝে যে, ভারতের সঙ্গে আমরা খুব কম বাণিজ্য করি। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ব্যবসা করে।

“ভারত আমাদের কাছে বিপুল পণ্য রপ্তানি করে। কিন্তু আমরা তাদের কাছে খুব কম পরিমাণ পণ্য বিক্রি করি। এখন পর্যন্ত এই সম্পর্ক পুরোপুরি একতরফা। বহু দশক ধরেই তা এমন।”

ট্রাম্প আরও লেখেন, “এর কারণ, ভারত এখন পর্যন্ত আমাদের ওপর এত বেশি শুল্ক আরোপ করছে, যা অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। আমরা আমাদের পণ্য ভারতে বিক্রি করতে অক্ষম। এটি সম্পূর্ণ একতরফা বিপর্যয়!”

রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে তেল এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনে বলে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি যে শাস্তিমূলক শুল্ক নয়াদিল্লির ওপর চাপিয়েছেন তা আর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা তার নেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “ভারত তাদের বেশির ভাগ তেল এবং সামরিক পণ্য রাশিয়া থেকে কেনে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনে খুব কম। তারা এখন তাদের শুল্ক কমিয়ে শুন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু দেরি হয়ে গেছে। তাদের বহু বছর আগেই তা করা উচিত ছিল।”

উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার শাস্তি হিসাবে ট্রাম্প গত ৬ অগাস্ট ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কের উপর আরও ২৫ শতাংশ জরিমানা (অর্থাৎ মোট ৫০ শতাংশ) আরোপের ঘোষণা দেন; যা ব্রাজিল ছাড়া অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্কের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর জবাবে চীনের তিয়ানজিনে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সৌহার্দ্য প্রদর্শন করে ভারত। সম্মেলনের ফাঁকে তিন দেশের নেতা বিশ্ব বাণিজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্কের কারণে যে ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারত, রাশিয়া এবং চীন তিন দেশেরই সম্পর্ক অস্বস্তিকর। ইউক্রেইন যুদ্ধ, বাণিজ্যশুল্ক ও ভূরাজনৈতিক চাপের প্রেক্ষাপটে তিয়ানজিনে তিন নেতার বৈঠক ও সৌহার্দের বার্তা এক নতুন আঞ্চলিক সমীকরণেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আর এর মধ্যে ট্রাম্প ভারতকে ‘সময় শেষ’ বলে যে বার্তা দিয়েছেন, তা নতুন করে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *