চ্যানেল আই অনলাইন
ভারতে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার (আইএসআই) নতুন ধরনের নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হয়েছে, যেখানে পশ্চিম এশিয়া ও নেপালকে ব্যবহার করে গোপনে সেনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল।
আজ (৩ জুলাই) বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা সম্প্রতি আনসারুল মিয়া আনসারি নামের এই আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মূল হোতাদের একজন নেপালের নাগরিকে গ্রেফতার করার পর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা নাগাদ পূর্ব দিল্লির বিশ্বাস নগর এলাকায় একটি বিশেষ ফাঁদ পেতে আনসারিকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাধিক গোপন নথি, সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত নির্দেশিকা এবং ‘গোপন’ মার্ক করা নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, একটি সিডি—যেটিতে সম্ভবত ক্লাসিফায়েড সামরিক তথ্য ছিল—গ্রেফতারের আগেই আনসারি ধ্বংস করে শৌচালয়ে ফেলে দেয়।
আনসারির জবানবন্দি অনুযায়ী, সে ২০০৮ সাল থেকে আইএসআই-এর হয়ে কাজ করছেন। তিনি প্রায়ই নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করতেন এবং ভুয়া বা দ্বৈত পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সীমান্ত পার হতেন। ভারতে ঢোকার পর স্থানীয় মাধ্যমের মাধ্যমে সেনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও তা ডিজিটাল বা প্রিন্টেড ফর্মে হ্যান্ডলারের কাছে পাঠাতেন।
আরও এক অভিযুক্ত, ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা আখলাক আজম, আনসারির ভারত সফরের সময় লজিস্টিক সহায়তা ও গোপন আশ্রয়দানে যুক্ত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার ফোন ফরেনসিক পরীক্ষায় পাকিস্তানি নম্বরের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও “বিদেশি হ্যান্ডলার”-এর উল্লেখ পাওয়া গেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে কমপক্ষে ১৫ জনকে পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট ও পাঞ্জাব থেকে এই ধরনের বেশ কয়েকটি আটক বা জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা ঘটেছে।