Google Alert – সেনা
পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া ইউপির জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত মানবিক সহায়তার চাল বিতরণে খরচের নামে আদায় করা টাকা ফেরত দিয়েছেন উদ্যোক্তা।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে সেনাবাহিনীর বাউফলের অস্থায়ী ক্যাম্পের সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপে মোট ২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। সরকার নিবন্ধিত ১ হাজার জেলেকে ২০০ করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে চাল বিতরণের সময় নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়।
শনিবার (২৮ জুন) চাল বিতরণে খরচের টাকা আদায়ের নামে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ একটি কক্ষে সারিবদ্ধ দাড় করিয়ে জেলেদের চাল বিতরণ কার্ড প্রদানের সময় টাকা নিচ্ছেন এক ব্যক্তি।
এ সময় প্রত্যেক জেলের কাছ থেকে ২০০ করে টাকা আদায় করেন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা (অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ভিডিও প্রকাশের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নজরে আসে। পরে সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপে মাইকিং করে জেলেদের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ভুক্তভোগীরা জড়ো হলে তাদের ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
ধুলিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই উদ্যোক্তা আব্দুলাহ আল মামুনকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। টাকা ফেরত পেয়ে জেলেরাও খুশি।’
পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া ইউপির জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরতের দৃশ্য