Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল
চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পোশাক উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পোশাক উদ্ধার হলেও এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। সেনাবাহিনী বলছে, পোশাক তৈরির পেছনে জড়িত মংহ্লাসিন মারমা ওরফে মং মারমা এখনো গ্রেফতার হয়নি। তাকে গ্রেফতারের পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের (স্টাফ কর্নেল) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
কেএনএফের পোশাক উদ্ধার সংক্রান্ত প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। পোশাকের পেছনে মূল হোতা মংহ্লাসিন মারমা ওরফে মং মারমা এখনো গ্রেফতার হয়নি। তাকে গ্রেফতারের পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামের পোশাক কারখানায় তৈরি হচ্ছিল কুকি-চিনের ইউনিফর্ম
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযান, কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে ২৩ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে এবং একটি ইউপিডিএফের ক্যাম্প ধ্বংস করে। এসকল অভিযানের অংশ হিসেবে রাঙ্গামাটিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে একজন সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলশ্রুতিতে বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় কেএনএফের ভয়ে বসতবাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া বান্দরবানের ১৩৮ জন বম উপজাতি পুনরায় তাদের বসতভিটায় ফিরে এসেছে এবং সেনাবাহিনী তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করছে।
কেএনএফের বিরুদ্ধে বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল (বুধবার) রাত থেকে পরিচালিত অপারেশনে আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে কেএনএফের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কেএনএফের একজন মেজর পদবির কমান্ডারসহ (মেজর পুটিং/মেজর ডলি) দুজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে এবং ৩টি অত্যাধুনিক এসএমজি, একটি চাইনিজ রাইফেল, ৩৬৪ রাউন্ড অ্যামুনিশনসহ বেশকিছু সামরিক সরঞ্জামাদি ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানটি এখনো চলমান আছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি এফডিএমএন ক্যাম্পসহ রামু এলাকায় নিরাপত্তা বিধানেও সেনাবাহিনী গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান এই সেনা কর্মকর্তা।
টিটি/এমকেআর