মধ্যপ্রাচ্যে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ছড়িয়ে পরা ঠেকাতে ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ

RisingBD – Home

আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) বলেছে, “ইসরায়েল ও ইরান মধ্যেকার উন্মুক্ত যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করবে কিনা তা মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী পদক্ষেপের উপর নির্ভর করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরবর্তী পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “ট্রাম্পের প্রাথমিক বক্তব্যে ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলাকে পারমাণবিক আলোচনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখানো হয়েছে, কিন্তু ইসরায়েলি হামলাকে এভাবে মূল্যয়ন করাটা ভুল।”

আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলা এবং ইরানি বাহিনীর প্রতিশোধমূলক হামলা বিশ্লেষণ করে আইসিজি এমন মন্তব্য করেছে। 

আইসিজে বলছে, “এর পরিবর্তে, ট্রাম্পকে জরুরিভাবে ইসরায়েলের পক্ষে তার প্রচারণা জোরদার করা বন্ধ করতে হবে এবং ইরানকে পিছু হটার জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা দিতে হবে, না মানলে তেহরানকে কঠিন পরিণতি স্পষ্ট করে দিতে হবে।” 

আইসিজি আরো বলেছে, “ট্রাম্পের উচিত নেতানিয়াহুর সরকারকে পরিস্থিতি আরো খারাপ করা বন্ধ করতে চাপ দেওয়া, যেমন দেশটিতে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার হুমকির মাধ্যমে। একই সঙ্গে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উচিত পারমাণবিক চুক্তি আলোচনায় ইরানকে ‘যুক্তিসঙ্গত শর্তাবলীর একটি সেট’ অফার করা, যেমন দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।

আইসিজির মতে, “এই ধরনের পদক্ষেপের জন্য কঠিন কূটনীতির প্রয়োজন হবে এবং ট্রাম্পকে ওয়াশিংটনে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু বিপরীত দিকে অগ্রসর হওয়া, যেমনটি ট্রাম্প এখন করছেন তা পরিস্থিতিকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।”

উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) ব্রাসেলসভিত্তিক একটি অলাভজনক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান যুদ্ধ ও সংঘাতের পাশাপাশি সম্ভাব্য সংকটগুলো নিয়ে পূর্বাভাস ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে তারা। তাদের সেই পূর্বাভাস, প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণগুলো বিশ্বে দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে নির্ভরযোগ্য বার্তা হিসেবে বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান বিবেচনা করে। 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *