মহাকাশে রহস্যময় বস্তু, ধুমকেতু নাকি এলিয়েনের মহাকাশযান

Independent Television

মহাকাশে নতুন এক মহাজাগতিক বস্তু শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। গত ১ জুলাই শনাক্ত হওয়া বস্তুটি সৌরজগতের কাছাকাছি চলে আসছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি একটি ধুমকেতু, সৌরজগতের পাশ দিয়ে চলে যাবে এটি। কিন্তু এটিকে ধুমকেতু হিসেবে মানতে নারাজ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অ্যাভি লোয়েব। তিনি বলছেন, এটি আসলে ভিনগ্রণের প্রাণীদের (এলিয়েন) কোনো মহাকাশযান। এ ছাড়া এলিয়েনের সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারেও সতর্ক করে দিয়েছেন এই বিজ্ঞানী।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ বলছে, ধুমকেতু বলে দাবি করা বস্তুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘থ্রিআই/অ্যাটলাস’। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অ্যাভি লোয়েব দাবি করছেন, এটি যে এলিয়েনের একটি মহাকাশযান, সে ব্যাপারে তার কাছে প্রমাণ রয়েছে।

ডব্লিউবিজেড-টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাভি লোয়েব বলেন, ‘বস্তুটিকে পাথর, ধুমকেতু কিংবা অন্য কোনো জিনিস হিসেবে প্রমাণ করার আগে আমাদের উচিত সব ধরনের প্রমাণাদি নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা। এরপর তথ্যগুলোই প্রমাণ করবে এটি আসলে কী। আমার মনে হচ্ছে, এটি এমনি এমনি আসেনি। কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী একে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং এদিকে পরিচালিত করছে। সেক্ষেত্রে বিশ্বকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকা উচিত।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, এ বছরই সৌরজগতের খুব কাছে চলতে আসবে বস্তুটি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞানী দাবি করছেন, এ বছরের ২৯ অক্টোবর এটি আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে কাছে চলে আসবে।

লোয়েব হুমকির কথা বললেও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা কিন্তু এ ব্যাপারে ইতিবাচক বার্তাই দিয়েছে। তারা বলছে, ‘থ্রিআই/অ্যাটলাস’ নামের বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয়, এটি অনেক দূরের এলাকা দিয়ে চলে যাবে।

তবে এটি এলিয়েনের মহাকাশযান হতে পারে বলে সম্প্রতি ফের সতর্কবার্তা দিয়েছেন লোয়েব। তিনি বলছেন, ‘আমরা মহাকাশে অনেক বাড়ি দেখতে পাই, যেগুলো দেখতে আমাদের বাড়ির মতোই। এগুলো পৃথিবীর সৌরমণ্ডলের অনুরূপ জায়গায় আছে। এসব বাড়িতে কোনো বাসিন্দা আছে কিনা, সেটি আমরা নিশ্চিত করে এখনো বলতে পারছি না। কিন্তু সেখানে বাসিন্দা নেই বলাটা বেশি বলা হয়ে যাবে।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ বলছে, এ কারণেই এলিয়েনের সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য পৃথিবীকে প্রস্তুত থাকতে বললেন এই বিজ্ঞানী। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদের মতে, নীতিনির্ধারকদের হাতে সময় খুব কম। এ কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন করা দরকার।

এই বিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ভিণগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, গ্রহাণুর প্রভাব–এসব নিয়ে আমরা বেশ চিন্তিত। কিন্তু এলিয়েনের প্রযুক্তি কেমন হতে পারে–সে ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করছি না। বস্তুটি তো সাধারণ ধুমকেতুর মতো নয়। এ কারণেই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া জরুরি।’

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *