চ্যানেল আই অনলাইন
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে নিয়োজিত যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ অফিস সহকারী মাসুমা বেগম (৩২) মারা গেছেন। এর আগে সকালে একই ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী জারিফ ফারহান (১৩) মারা যান। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫।
শনিবার ২৬ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে অফিস সহকারি মাসুমা মৃত্যুবরণ করেন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় জারিফ ও সোয়া ১০টার দিকে মাসুমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জারিফের শ্বাসনালীসহ শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং মাসুমার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তারা লাইফ সাপোর্টে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। বর্তমানে ৩৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন, যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
নিহত জারিফের বাবা মো. হাবিবুর রহমান জানান, তাদের বাড়ি রাজবাড়ীর সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকায়। পরিবার নিয়ে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডে বসবাস করেন। দুই সন্তানের মধ্যে জারিফ ছিল ছোট। সে স্কুলটির সপ্তম শ্রেণির ইংলিশ ভার্সনের শিক্ষার্থী ছিল।
২১ জুলাই দুপুর ১টার কিছু পরে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
মর্মান্তিক এ ঘটনার পর মঙ্গলবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু। বর্তমানে দগ্ধ ও আহত ৪৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।