‘মাদক’ মামলা হয়ে গেল ছিনতাইয়ের, মোহাম্মদপুরের ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত

jagonews24.com | rss Feed

ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে হেরোইনসহ এক যুবককে আটকের পর মামলা করে পুলিশ। পরে সেই মামলা গায়েব করে একই নম্বরে অন্য একটি ছিনতাইয়ের মামলা করার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।

মে মাসের প্রথম সপ্তাহের এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, হেরোইনসহ আটক যুবককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে পুরোনো মামলায়। আর মাদক মামলার বদলে একই নম্বরে দায়ের করা ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে আরেকজনকে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা ওই মামলার এজাহারে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প থেকে ওই আসামিকে আটকের সময় ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে এই এজাহারের পাশাপাশি আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ওই হেরোইনও গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি জানাজানি হলে সম্প্রতি এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসানসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারা জড়িত তা তদন্তে নেমেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পাশাপাশি শনিবার (২৬ জুলাই) ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ এ ঘটনার অনুসন্ধানে একজন অতিরিক্ত উপকমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছে বলে জানান এ বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান। বলেন, ঘটনায় জরুরিভিত্তিতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

উপকমিশনার ইবনে মিজান জানান, মোহাম্মদপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে তদন্তের পাশাপাশি থানার আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে

এদিকে, মোহাম্মদপুর থানার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ তদন্তে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে একটি অনুসন্ধান কমিটি করার কথা জানান ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান

হেরোইন উদ্ধারের পর প্রথমে দায়ের করা মামলার এজাহারের তথ্য বলছে, গত ৬ মে রাতে মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ১০ লাখ টাকা মূল্যের ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক কারবারি মো. সাদ্দাম ওরফে ম্যানেজার সাদ্দামকে (৩৫) আটক করে পুলিশ। ওইদিন রাতেই তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা (নম্বর-২৪) করেন এ থানার এসআই মো. শাখাওয়াত হোসেন।

কিন্তু পরে সাদ্দামকে সেই মামলায় গ্রেফতার না দেখিয়ে ২০২৪ সালের একটি গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে হেরোইন উদ্ধারের বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

পরে সাদ্দামের বিরুদ্ধে করা মাদকের মামলাটি গায়েব করে একই নম্বরে কাছাকাছি সময়ে একটি ছিনতাইয়ের মামলা করেন এসআই মো. ফেরদৌস জামান। যে মামলায় মামুন হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

একইসঙ্গে প্রথম মামলায় জব্দ দেখানো হেরোইনও গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগের মধ্যে এ দুটো মামলা করার পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।

টিটি/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *