Google Alert – সশস্ত্র
মার্কিন প্রশাসনের নতুন হুমকি ও চাপ মোকাবিলায় ৪৫ লাখেরও বেশি মিলিশিয়া সদস্যকে মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর বিরুদ্ধে পুরস্কারের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করেছে এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদকবিরোধী নতুন সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) এক টেলিভিশন ভাষণে মাদুরো বলেন, এই সপ্তাহেই আমি বিশেষ পরিকল্পনা চালু করবো। এতে সারাদেশে সাড়ে ৪৫ লাখ মিলিশিয়া মোতায়েন থাকবে। যারা প্রশিক্ষিত, সক্রিয় এবং সশস্ত্র।
ভেনেজুয়েলার এই মিলিশিয়া বাহিনী সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজের সময় গঠিত হয়। সরকারি হিসেবে বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ বলা হলেও বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে কম। প্রায় ৩ কোটি জনসংখ্যার এই দেশটি এখন গুরুতর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক, অদ্ভুত এবং হাস্যকর হুমকি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ওয়াশিংটন তাকে ‘কার্টেল দে লস সোলেস’ নামে পরিচিত একটি কোকেন চোরাচালান নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ করেছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেয়নি।
মার্কিন প্রশাসন শুধু মাদুরো সরকারের ওপরই নয়, বরং কথিত ওই কার্টেলের বিরুদ্ধেও নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি ক্যারিবীয় সাগরে তিনটি মার্কিন গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস গ্র্যাভলি, ইউএসএস জেসন ডানহ্যাম এবং ইউএসএস স্যাম্পসন পাঠিয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই সেগুলো ভেনেজুয়েলার উপকূলে পৌঁছাবে। প্রায় ৪ হাজার নৌ-সেনা ও মেরিন এই অভিযানে যুক্ত থাকবে।
ভেনেজুয়েলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়োসদাদো কাবেলো বলেন, ‘আমরা ক্যারিবীয় সমুদ্রজুড়ে মোতায়েন আছি। এটি আমাদের সমুদ্র, আমাদের সম্পদ, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ড।’
এদিকে মাদুরো তার রাজনৈতিক ঘাঁটিকে শ্রমিক ও কৃষক মিলিশিয়া সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদেরকে রাইফেল ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হবে, যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায়।
মার্কিন চাপের মাঝেও তিনি কৃতজ্ঞতা জানান আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সেইসব নেতার প্রতি, যারা ওয়াশিংটনের অবস্থানের বিরোধিতা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যকে তিনি আখ্যা দেন ‘পচা বুলি’ হিসেবে।
সম্প্রতি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবামও যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘মাদুরোর সঙ্গে সিনালোয়া কার্টেলের কোনো সম্পর্কের প্রমাণ মেক্সিকান সরকারের কাছে নেই।’
সূত্র/আল-জাজিরা