‘মা আমরা জিতে গেছি’, খেলা শেষে মাকে ভিডিও কলে বলেছিলেন ঋতুপর্ণা

Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

বাংলাদেশ নারী ফুটবল ইতিহাসে এক নতুন সূর্যোদয়। মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। এই ঐতিহাসিক জয়ের নায়িকা রাঙামাটির পাহাড়ি কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা, যিনি একাই করেছেন দলের জয়ের জন্য মূল্যবান দুটি গোল।

ঋতুপর্ণার এই কীর্তিতে দারুণ খুশি তার মা বসুবতি চাকমা, যিনি রাঙামাটির কাউখালীর মঘাছড়ি গ্রামে বসে মোবাইলেই মেয়ের খেলা দেখেছেন। ম্যাচ শেষে মেয়ের কাছ থেকে ভিডিও কলে শুনেছেন বিজয়ের বার্তা: ‘মা, আমরা জিতে গেছি।’ উত্তরে মা বলেছেন, ‘আশীর্বাদ রইল মা, দেশের জন্য জিতে এসো। ভালো করে খেলো।’

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন ঋতুপর্ণার মা বসুবতি চাকমা, ‘মেয়ের গোল করতে গোল দেখতে পেরে আমি খুব খুশি হয়েছে। সেটা বলে বুঝাতে পারবো না। এছাড়া এলাকার মানুষেরাও খুব খুশি। ঋতুরা যেন জিতে আসতে পারে সেটাই আর্শীবাদ করি। তারা জিতলে পুরো বাংলাদেশের নাম হবে। সবাই যেন তাদের জন্য আশীর্বাদ করে এই কামনা করি।’

 এই জয়ে শুধু ঋতুপর্ণা নয়, আলোয় এসেছেন আরও দুই পাহাড়ি বাঘিনী—গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ও মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা। পাহাড়ের তিন কন্যার নৈপুণ্যে যেন বাংলাদেশ পেয়েছে নতুন আশার আলো, আর পুরো পার্বত্য অঞ্চল ভেসেছে আনন্দের জোয়ারে।

রুপনার বাড়ি রাঙামাটির নানিয়ারচরের ভূঁইয়াদাম গ্রামে, আর মনিকা খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সুমন্ত পাড়ার মেয়ে। তিনজনই একে অপরের গর্ব, পুরো দেশের গর্ব।

এই জয় কেবল একটি ম্যাচ নয়—এটা পাহাড় থেকে সমতলে, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে জাতীয় পতাকার নিচে এক হওয়ার গল্প। এটা স্বপ্ন দেখার সাহসের গল্প, মা আর মেয়ের কথোপকথনে লেখা এক আবেগঘন অধ্যায়। এখন প্রত্যাশা এই মেয়েরা যেন আরও বহুদূর এগিয়ে যায়, বাংলাদেশের নাম বহন করে বিশ্বমঞ্চে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *