প্রথম আলো
দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, যুদ্ধ বন্ধে চীনের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও টিএনএলএ খোলাখুলিভাবে পিডিএফএসকে সহযোগিতা করেছে। পিডিএফএস মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক শক্তি ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি), যারা ছায়া সরকার গঠন করেছে তাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী।
চীন আনুষ্ঠানিকভাবে এনইউজির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে দ্বিধা করে। এর কারণ হলো, এনইউজির সামর্থ্য নিয়ে তাদের অবিশ্বাস আছে অথবা গোষ্ঠীটির ওপর পশ্চিমা প্রভাবের ব্যাপারে তারা শঙ্কিত।
এ ছাড়া একেবারে সীমান্তের দোরগোড়ায় যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্ম নেয়, তাহলে সেটি বেইজিংয়ের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। যাহোক চীনের অবস্থান মিয়ানমারের ভেতরে এনইউজির ব্যাপক জনপ্রিয়তার বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হয়।
ঐতিহাসিকভাবে এনইউজি সুনির্দিষ্ট কিছু জাতিগত প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধনে আবদ্ধ। এরা হলো কারেন, কারেননি, কাচিন ও চিন রাজ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী।
সম্মিলিতভাবে এদের কে৩সি জোট বলা হয়। এদের মধ্যে কাচিনের সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে।