Google Alert – সামরিক
মিয়ানমারের সামরিক সরকার আসন্ন নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। নতুন এই আইনে বিরোধিতার অভিযোগে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আর দলবদ্ধ অপরাধের ক্ষেত্রে এই শাস্তি হতে পারে ৫ থেকে ১০ বছর। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হয়েছে মঙ্গলবার। চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন আইন অনুযায়ী, নির্বাচনপ্রক্রিয়ার অংশ বিশেষ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে কোনও বক্তব্য, সংগঠিত প্রচেষ্টা, উসকানি, প্রতিবাদ বা লিফলেট বিতরণ নিষিদ্ধ। এই পদক্ষেপকে সামরিক শাসনের বৈধতা প্রতিষ্ঠার ‘নাটক’ বলে অভিহিত করেছেন বিরোধীরা এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা।
এছাড়া ব্যালট পেপার বা ভোটকেন্দ্র ধ্বংস, ভোটার, প্রার্থী বা নির্বাচনি কর্মকর্তাদের ভয় দেখানো বা আঘাত করার অপরাধে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কেউ নিহত হলে আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব অভিযুক্তের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সাজা থাকবে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমার গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা সেনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। চলতি বছর নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্ব হিসেবে নেওয়া জনশুমারির সময় সরকারি কর্মীদের ব্যাপক বাধার মুখে পড়তে হয়।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৫ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি। এর জন্য গুরুতর নিরাপত্তাজনিত প্রতিবন্ধকতাকে দায়ী করা হয়েছে সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ গত মাসে এই নির্বাচনি পরিকল্পনাকে ‘প্রতারণামূলক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেনাবাহিনী একটি নির্বাচনের মরীচিকা তৈরি করে একটি কথিত বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার ভান করছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার আহ্বানও জানান তিনি।