মিয়ানমারে পরাশক্তির উপস্থিতি ও আধিপত্য

Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম

ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ): মিয়ানমারে পরাশক্তিগুলোর উপস্থিতি এবং চলমান গৃহযুদ্ধ বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও স্বার্থকে ঝুঁকিতে ফেলছে। রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সংকট, এবং ভারত, চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। বাংলাদেশের জন্য সীমান্ত নিরাপত্তা, মানব ও মাদক পাচার রোধ এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা অপরিহার্য। এই জটিল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কৌশলগত নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সবার সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।

মিয়ানমারে পরাশক্তির উপস্থিতি ও আধিপত্য – বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং স্বার্থ সুরক্ষা

মিয়ানমার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। একুশ শতকের উন্নয়ন ও অগ্রগতির  পথচলায় আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ও যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম। মিয়ানমারে মূল্যবান বিরল খনিজ এবং এর পাশাপাশি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগর তথা ভারত মহাসাগরে প্রবেশের সুযোগ মিয়ানমারকে পরাশক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা ও প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। ২০২১ সালে সামরিক জান্তার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। চলমান এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাখাইনের জাতিগত সশস্ত্র দল আরাকান আর্মি রাখাইনে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত আরাকান এবং রাখাইন রাজ্যের ১৭ টা শহরতলীর মধ্যে ১৪ টা আরাকান আর্মির দখলে এবং সমগ্র আরাকানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য সংঘর্ষ চলছে। মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত এবং মিয়ানমার সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকটের কারনে বাংলাদেশের নিরাপত্তায় প্রভাব পড়ছে এবং নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো থেকে রোহিঙ্গারা নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। রাখাইনে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করায় সীমান্তবর্তী হওয়ার কারনে এর প্রভাব বাংলাদেশের উপরও পড়ছে। 

চলমান এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও রাখাইন রাজ্যে চীন ও ভারতের বিনিয়োগ ও বিভিন্ন স্থাপনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রাশিয়া এবং  যুক্তরাষ্ট্র রাখাইনে তাদের উপস্থিতি ও প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী। রাখাইনে চীন ও ভারতের বিনিয়োগ ও বিদ্যমান স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা, রাশিয়া ও আমেরিকার ভু-কৌশলত আগ্রহ এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলবে। মিয়ানমার ও রাখাইনে পরাশক্তির উপস্থিতি ও প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অনিশ্চিত হয়ে যাবে, চলমান সংকট আরও জটিল থেকে জটিলতর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত থাকায় আন্তঃ সীমান্ত অপরাধ, সীমান্ত নিরাপত্তা, অস্ত্র, মাদক ও মানব পাচার, বাংলাদেশের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসীদের উত্থানের মত নিরাপত্তা সংকটের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তার উপর চাপ ফেলবে। আরাকান আর্মির হাতে থাকা প্রচুর পরিমান অস্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে পারে। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের কার্যক্রম শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মিয়ানমার জান্তা নতুন করে রাখাইনের উপর আক্রমণ চালালে সংকট আরও দীর্ঘায়িত হবে। 

রাখাইনে শান্তি ফিরে না আসলে এবং রাখাইন রোহিঙ্গা সম্পর্ক উন্নয়নে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংঘাত চলমান থাকলে রাখাইনের উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ সম্ভব হবে না ফলে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন হবে না। একই সাথে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হলে এবং সামনের দিনগুলোতে ত্রাণ সহায়তা কমে গেলে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এতে বাংলাদেশের ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমানে আরাকান আর্মির সাথে কোন সমঝোতা না হওয়ায় টেকনাফ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের বাণিজ্যও বন্ধ রয়েছে।  

সামরিক অভ্যুত্থানের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারনে, মিয়ানমার এবং রাশিয়া ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, বাণিজ্য এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ায়। রাশিয়া এবং চীন উভয়ই মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানের বিরোধিতা করেছে। জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন আং হ্লাইং ক্ষমতা গ্রহণের পর চার বার রাশিয়া সফর করে। রাশিয়া মিয়ানমারের বন্ধু রাষ্ট্র ও অন্যতম অস্ত্র সরবরাহকারী। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়া মিয়ানমার বিমানবাহিনীকে ছয়টি সু ৩০ এস এম ই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে। মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে বিমান হামলা এবং সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৬২ জন নিহত হয়েছে।  রাশিয়া রাখাইনে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। রাশিয়া তার  উৎপাদিত পণ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাজারজাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য রাশিয়া ভারতের ভেতর দিয়ে মিয়ানমার হয়ে একটি বাণিজ্য করিডর গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। মিয়ানমার ও রাশিয়া ভারতকে এই নতুন প্রকল্পে যুক্ত করতে চাইছে। 

২০০৮ সালে শুরু হওয়া কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত রাজ্যগুলোর পরিবহন সহজ করতে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পের সমুদ্র ও নদী অংশের কাজ শেষ হলেও ১০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ বাকী রয়েছে, ভারত ২০২৭ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার অঙ্গীকার করেছে। আঞ্চলিক কৌশল এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য হিসেবে ভারত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রস্তাবিত রাশিয়া-ভারত-মিয়ানমার করিডর ভারতের চলমান কলাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। 

রাখাইনের চকপিউ গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে চীন তার জ্বালানির একটা বড় অংশ নিজ দেশে পাঠাতে শুরু করেছে। চকচিউ থেকে কুনমিং পর্যন্ত সরাসরি চীনের পাইপলাইন রয়েছে। চীন রাখাইনে বেশ কিছু বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনেও বিনিয়োগ করেছে। চীন তাদের স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকারের সাথে কাজ করছে।

মিয়ানমার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার্মা এক্টের মূল লক্ষ্য হল বার্মার অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পথ পুনরুদ্ধার করা, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে এবং মার্কিন স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমান ও উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয় দুর্লভ খনিজ সংগ্রহে চীনের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে মিয়ানমারের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। মিয়ানমার এই খনিজের একটি বড় বিকল্প উৎস হতে পারে। চীন সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের খনিজ অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এই খনিজ উত্তোলন করতে গেলে চীন এতে বাধা দিতে পারে এবং এর ফলে একটা সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। সম্প্রতি মিয়ানমার জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামলের প্রশংসা করে একটা চিঠি পাঠায়। এর পরই জান্তা ঘনিষ্ঠ তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ও ব্যবস্থাপনাকারী ব্যক্তিদের নামও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের দুর্লভ খনিজ সম্পদ পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলার সময় এখনো আসেনি।

মিয়ানমারের সংঘাত প্রতিবেশী দেশ ভারতের নিরাপত্তায়ও চাপ ফেলছে। সংঘর্ষের কারনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারন মানুষ ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। অন্য দিকে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও ভারত মিয়ানমার সীমান্তে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১২ জুলাই ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর মিয়ানমারের ভেতরে ভারতীয় সশস্ত্র গুষ্ঠি উলফার বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে ড্রোন হামলা চালানো হয়। উলফা দীর্ঘদিন ধরে আসামের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে। বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত বর্তমানে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে কোন সময়ে সীমান্ত এলাকায় আক্রমণ চালালে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। এর আগেও আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে বাংলাদেশের ভেতরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। বাংলাদেশ প্রত্যক্ষভাবে কোনো পক্ষে না থাকলেও রাখাইন চলমান যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে। বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ ও রাখাইনের ভূকৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। চীনের প্রভাব মোকাবেলায় আমেরিকার কাছে মিয়ানমার ও রাখাইনের গুরুত্ব বেড়েছে। ভারতের সঙ্গে আরাকান আর্মির সম্পর্ক ভালো না হলেও বর্তমানে ভারত আরাকান আর্মির সাথে তাদের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।  রাখাইন এখন আমেরিকা, চীন, ভারত এবং বাংলাদেশের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রায় আট বছর ধরে চলমান রোহিঙ্গারা সংকট একটা নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় রূপান্তরিত হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভেতরে অনেকে মাদক, অস্ত্র, মানব পাচার সহ বিভিন্ন ধরনের বেআইনি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতে জটিলতার এবং একই সাথে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপরও হুমকি সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সাড়ে বার লাখ রোহিঙ্গার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা উদ্বেগজনকভাবে কমে যাচ্ছে। গত ১৮ মাসে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গা নতুন করে এসেছে এবং নতুন শিশুর জন্মের ফলে চলমান সহায়তায় উপর চাপ বাড়ছে। রোহিঙ্গা সংকটের কারণে রাখাইনের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত। রাখাইনের ওপর আরাকান আর্মির যে ধরনের নিয়ন্ত্রণ আছে, তাতে মিয়ানমার  সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে রাজি হলেও আরাকান আর্মির সমর্থন ছাড়া রোহিঙ্গারা কোনোভাবেই তাদেরকে রাখাইনে ফেরত পাঠানো যাবে না। আমাদের নিজস্ব স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। এর পাশাপাশি মিয়ানমার সরকারের সাথে ও সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়ে যোগাযোগ চলমান রাখতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ও প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আরাকান আর্মি ও ইউ এল এর ঊর্ধ্বতন কর্ম কর্তাদের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘ, বিদেশে অবস্থানকারী  রোহিঙ্গা নেতৃবৃন্দ সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশকে এই সংকট সমাধানে কাজ করে যেতে হবে।

রাখাইনে রাশিয়া, চীন, ভারতের উপস্থিতি ও অর্থনীতিক বিনিয়োগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, মিয়ানমার ও রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। মিয়ানমার ও রাখাইন ঘিরে একটা জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি ও পরাশক্তির স্বার্থের সংঘাতে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তার উপরও এর প্রভাব পড়বে। সব ধরনের দেশীয় মিডিয়াতে রোহিঙ্গা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গবেষণা এবং অন্যান্য প্রকাশনার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই সমস্যার বিষয়ে সব সময় সরব থাকতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে কৌশলগত নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সবার সাথে কাজ করতে হবে।

ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন, 
এন ডি সি, এ এফ ডব্লিউ সি, পি এস সি, এম ফিল (অবঃ)
মিয়ানমার ও  রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক

সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *