Independent Television
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াসসহ কয়েকজন পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে। তারা দেশে ফিরলে তাদের ঠিকানা হবে কেরানীগঞ্জ কারাগার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার বিকালে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্গম অঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে সম্প্রতি স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। আমি এই নৌ-ডাকাত গ্রুপ সম্পর্কে অনেক আগে থেকে অবগত। তাদের হাতে থানা থেকে লুট করা অস্ত্র থাকতে পারে। সেগুলো উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ তৎপরতা দেখাচ্ছে। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই ক্যাম্পটি চালু হয়েছে। আমি আজকে আসলাম তা ঘুরে দেখার জন্য। ক্যাম্পটি স্থায়ী করার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি আমরা।’
উপস্থিত সাংবাদিকরা মুন্সিগঞ্জের আলু চাষিদের দুর্দশার চিত্র তার সামনে তুলে ধরলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। আলু চাষিরা যাতে ন্যায্য দাম পায় সেজন্য আমরা আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ন রশীদ, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম।
প্রসঙ্গত, গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে নৌ-ডাকাতদের অপতৎপরতা কমাতে গত ২২ আগস্ট ইউনিয়নটির জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়। ক্যাম্প চালু হওয়ার পর ২৫ আগস্ট অস্থায়ী ক্যাম্প সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পুলিশকে লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৪-৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নৌ-ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। বিষয়টি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করলে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় নৌ-ডাকাত বাহিনীটির প্রধান নয়নের বড়ভাই রিপনসহ এখন পর্যন্ত ৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।