যত শিগগিরই সম্ভব নির্বাচন করার কথা জানানো হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

Google Alert – ইউনূস

যত শিগগিরই সম্ভব বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে-অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে টেলিফোন আলাপের সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুব চমৎকার পরিবেশে কথাবার্তা হয়েছে। আমি সামনে বসা ছিলাম। সেখানে সংস্কার কার্যক্রমে তাদের সমর্থনের কথাও বলেছেন এবং কথায় কথায় উঠে এসেছে যে, যত শিগগির সম্ভব নির্বাচন করা হোক। কোন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুপক্ষের কথাবার্তাই হচ্ছিল আন্তরিক পরিবেশে। তার মাঝে এই কথাগুলো উঠে এসেছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তারা জিজ্ঞাসা করেছেন এবং এ ব্যাপারে আমাদের যে সংস্কার কার্যক্রম চলছে, সেটির বিষয়েও তাদের সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করেছে। তখন তাদের জানানো হয়েছে যে আসলে যত শিগগিরই সম্ভব নির্বাচন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আলোচনা নিয়ে তিনি বলেন, আজকে ওয়াশিংটনে বৈঠক হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখানে গেছেন। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সেখানে আছেন। কাজেই আমরা আশা করব যে একটি সমাধানে আমরা দুপক্ষ পৌঁছাতে পারব এবং বাণিজ্যে তেমন প্রভাব পড়বে না।

ঢাকায় ওএইচসিএইচআরের অফিস প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনো এটা খসড়া পর্যায়ে আছে। খসড়া আদান-প্রদান শেষ হওয়ার পরে যখন একটা সম্পূর্ণ এগ্রিড ড্রাফটে আসবে যেটাতে একটি শব্দও পরিবর্তন করতে হবে না, তখন আমরা সই করব। তখন আপনাদের বিস্তারিত বলতে পারব। তার আগে খসড়া পর্যায়ে আমাদের এটা নিয়ে আলাপ না করাই ভালো।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের পরবর্তী আবাসিক সমন্বয়কারীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতিসংঘের নতুন প্রতিনিধিকে নিয়ে ঢাকার অস্বস্তি আছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে এগ্রিমো দিতে হবে। আমরা এখনো এগ্রিমো প্রসেস করিনি। কাজেই প্রসেস হোক, তারপর এটার জবাব। বর্তমানে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন গোয়েন লুইস।

গত এক বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কতটুকু সংস্কার হয়েছে। এই সংস্কার নিয়ে আপনারা সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে এমন প্রশ্নের উত্তরে এম তৌহিদ হোসেন বলেন, সংস্কার নিয়ে কখনো হ্যাপি হওয়া উচিত নয়। কেননা হ্যাপি হলে আর কিছুটা করার নেই। আমরা চেষ্টা করছি এটাকে (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) যতটুকু জনবান্ধব করা যায়। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের বিভিন্ন কারণে যে সাফারিং, সেটা দূর করার জন্য চেষ্টা করেছি। সব যে করতে পেরেছি, তা নয়। ওমানে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি কর্মীদের পাসপোর্ট দিতে, যেন রাস্তায় রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়। বাকি মিশনগুলোকেও এই ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত না আনতে পারার জন্য কোনো আক্ষেপ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আক্ষেপ তো একটা নোডেট টার্ম। কার কতটুকু আক্ষেপ আমি জানি না। আমি এটাকে দেখি এভাবে, আমরা ফেরত আনার জন্য চিঠি দিয়েছি, প্রয়োজনে সেটা ফলোআপ করা হবে। এইটুকুই।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *