jagonews24.com | rss Feed
ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে সাভারের মহাসড়কগুলোতে। নবীনগর-চন্দ্রা, আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে যানবাহনের জটলা। এরই মধ্যে কোথাও কোথাও যানবাহন সংকটও দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় দেখা যায়, অনেক যাত্রী দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেও গন্তব্যমুখী বাস পাচ্ছেন না। একই চিত্র নবীনগর, শ্রীপুর, জিরানী ও চন্দ্রা এলাকায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বড় ধরনের কোনো যানজট এখনও হয়নি, তবে সাভারের তিনটি স্থানে মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। বিশেষ করে সার্ভিস লেনে অপেক্ষেমাণ যাত্রীবাহী বাসের জন্য সৃষ্টি হয়েছে কিছুটা জটলা। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কাজ করছেন।
যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, বাইপাইল থেকে সিরাজগঞ্জ যেতে চাই, কিন্তু তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। বাস মিলছে না। যেখানে ভাড়া ৩০০ টাকার মতো, সেখানে এখন এক হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছে। আমাদের রুটের বাসগুলো এখন রংপুরসহ অন্য রুটে চলে যাচ্ছে।
আরেক যাত্রী মজিবুর রহমান জানান, টাঙ্গাইলের গোপালপুর যাবো। কিন্তু সরাসরি কোনো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়াও অনেক বেশি। আমাদের এলাকার বাসগুলো অন্য জেলায় চলে গেছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নাহিদ মিয়া জানান, বেশিরভাগ সমস্যার কারণ হচ্ছে উল্টোপথে গাড়ি চলাচল এবং যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানো-নামানো। সড়ক জুড়ে অনিয়ন্ত্রিত অটো রিকশার ছোটাছুটি। আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করছি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, আজ ৪ লাখের বেশি মানুষ বাইপাইল হয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যাবে। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে প্রতি ২০০ গজ পরপর আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ চলছে।
এদিকে সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) বিষ্ণুপদ শর্মা জানান, তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর ছুটি শুরু হওয়ায় সড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে এখনও কোথাও বড় ধরনের যানজটের খবর নেই।
মাহফুজুর রহমান নিপু/এমএন/এএসএম