Kalbela News | RSS Feed
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেশের অন্যতম ‘মূল শত্রু’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশের স্বার্থে তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই জামায়াতে ইসলামী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। যে জামায়াত স্বাধীন দেশ চায়নি, দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, মা-বোনদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে, তাদের এখন কত বড় গলা। তাদের কথা আপনারা ভুলবেন না।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি উলফাত বলেন, এই দেশের মূল শত্রু তিনটি পক্ষ। প্রথমটি হলো ভারত, তারপর আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী। তারা সুযোগ পেলে যে কারও কাঁধে ভর করে। তাদের থেকে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, টাকার বিনিময়ে দেশের প্রায় অর্ধশত জেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটি দেওয়া হয়েছে। এসব কমিটিতে স্থান পেয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সদস্য ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা।
তিনি উদাহরণস্বরূপ লালমনিরহাট, ঝিনাইদহ ও খুলনা জেলার কমিটির কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অ্যাডহক কমিটি গঠনেও অনিয়মের অভিযোগ তুলে মুক্তিযোদ্ধা দলের এই সভাপতি বলেন, এই কমিটি গঠনের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। এই কমিটিই দেশজুড়ে অর্থের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা কমিটি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিবন্ধিত প্রথম কমিটি ও বর্তমান অ্যাডহক কমিটি গঠনে অনিয়ম এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ আত্মসাৎ ও জেলা কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সদস্য অন্তর্ভুক্তিসহ ছয়টি অনিয়ম উল্লেখ করা হয়।
এসব অনিয়মের পেছনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মুনিবুর রহমান ও সদস্য সচিব সাদেক আহমেদ খান জড়িত বলে অভিযোগ করেন ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। তিনি বলেন, জেলা কমিটিতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমর্থকরা সদস্য পদ থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এসব অনিয়ম বন্ধ না হলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি এম এ শহীদ, শাহাবুদ্দিন রেজা, মোবারক হোসেন, এম এ হালিম, তরঙ্গ আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, শরীফ হোসেন প্রমুখ।