যুক্তরাষ্ট্রে নতুন শুল্কহার ঘোষণায় বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির বার্তা: ড. খলিলুর রহমান

Google Alert – বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্কহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশে নির্ধারণ করেছে। এই সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের পোশাক খাত ও লাখো শ্রমিকের জন্য “সুখবর” হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।

এক বিবৃতিতে ড. খলিলুর রহমান বলেন, “আজ আমরা সম্ভাব্য ৩৫% পাল্টা শুল্ক এড়াতে সক্ষম হয়েছি। এটি আমাদের পোশাক খাত ও লাখো শ্রমিকের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। একই সঙ্গে, আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার অবস্থান ধরে রেখেছি এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগও তৈরি করেছি।”

যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর পূর্ববর্তী ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে এখন ২০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। একই সঙ্গে, এটি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানও বজায় রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ড. খলিলুর রহমান আরও বলেন, “আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আলোচনার প্রতিটি ধাপ পরিচালনা করেছি। পোশাক খাত রক্ষাই ছিল আমাদের অগ্রাধিকার। তবে আমরা মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি রাজ্যগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

 

ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ৭০টি দেশের ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন। ঘোষণার অংশ হিসেবে বলা হয়, প্রতিটি দেশের নতুন শুল্কহার নির্ধারিত হয়েছে তাদের প্রতিশ্রুতি ও আলোচনায় অংশগ্রহণের ভিত্তিতে।

চুক্তিগুলো শুধু শুল্ক হার নিয়েই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এগুলোর সঙ্গে দেশীয় নীতিমালার সংস্কার, বাণিজ্য ভারসাম্য, অশুল্ক বাধা ও জাতীয় নিরাপত্তা–সংক্রান্ত বিষয়গুলোও সংযুক্ত রয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, এসব চুক্তির আওতায় দেশগুলোকে মার্কিন পণ্য কেনার বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে।

নতুন তালিকায় বাংলাদেশ ২০ শতাংশ শুল্ক সুবিধা পেলেও শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়াও একই হারে শুল্ক দিচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারায় তাদের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য ইতিবাচক, তবে এ সুবিধা ধরে রাখতে হলে ভবিষ্যতেও কৌশলগত সম্পর্ক ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা জরুরি।

ওএফ

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *